২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

আ’লীগকে জনগণ ক্ষমতায় আনবেন: ভোলায় সমবায় মন্ত্রী

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:৪৯ অপরাহ্ণ, ০৬ আগস্ট ২০১৭

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের সরকার। বিএনপি যতই নকশাই করুক আর দাবা’র যত গুটি চালুক, কোনো লাভ হবে না। শেখ হাসিনার সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পুনরায় নির্বাচিত হবে। জনগণই আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনে এবং আগামী নির্বাচনেও আনবে।

’ রোববার (০৬ আগস্ট) ভোলায় এক সমাবেশে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ভোলার সদর উপজেলার বাঘমারা ব্রিজ উদ্বোধন এবং উত্তর দিঘলদি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন তিনি। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) প্রায় ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রিজটি নির্মাণ করে। এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, ‘অনির্বাচিত কোনো সরকার বাংলাদেশের গণতন্ত্র চর্চায় বাধা হতে পারবে না। সংবিধানের আলোকেই শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হবে।

নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করবে।’ তিনি বিএনপিকে ভোটের ময়দানে নামার জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান। খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ সময় বিএনপি’র উদ্দেশে বলেন, ‘জনগণ আপনাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। ক্ষমতায় আসার জন্য কোনো মায়াকান্না বা পাগলের প্রলাপ বকে আর কাজ হবে না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় দেশব্যাপী উন্নয়নের মহাকর্মযজ্ঞ পরিচালনা করছে। গ্রামীণ অবকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় এর প্রতিফলন ঘটবে। সমালোচকদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে শেখ হাসিনা দেখিয়ে দিচ্ছেন- মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়া অলিক কল্পনা নয়, বাস্তব হয়ে ধরা দিয়েছে। জনগণ আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করে, তারাই তাদের প্রিয় দলকে জেতায়।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশের জনগণের জন্য সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সারাদেশে সমানভাবে উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে। অবহেলিত বলে কোনো অঞ্চল উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বাদ পড়বে না। আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় এলে দেশের কোনো গ্রামীণ সড়ক কাঁচা থাকবে না।’ মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আপনারা আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করে অতীতেও ঠকেননি, ভবিষ্যতেও ঠকবেন না।’

আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগকে জেতাতে মন্ত্রী ভোলাবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। এর আগে, মন্ত্রী স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত কয়েকটি পথসভায় বক্তব্য দেন।

এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, প্রধানমন্ত্রীর জামাতা এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর ছেলে প্রকৌশলী খন্দকার মাশরুর হোসেন মিতু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মমিন টুলু, জেলা প্রশাসক মোহা. সেলিম উদ্দিন, পুলিশ সুপার মো. মোকতার হোসেনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।”

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন