২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

ইউরোপে জামিনের অপেক্ষায় ২০০ সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গি!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৫:২৮ অপরাহ্ণ, ১৭ মে ২০১৮

জঙ্গি তৎপতার মামলায় ইউরোপের কারাগারে আটক দুশ বন্দির জামিন দেয়া হচ্ছে। এসব বন্দির মানসিক অবস্থা ও ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে অনিশ্চয়তার কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যথাযথ পুনর্বাসনের অভাবে আবার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ারও সম্ভাবনা দেখছেন অনেকে।

জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত সন্দেহ আটক হয়েছিলেন ৩৪ বছর বয়সী ফরিদ বেনিয়েতো। প্যারিসে চরমপন্থি মতবাদ প্রচারের দায়ে ৪ বছর কারাদণ্ড ভোগ করেন তিনি। ফরিদের লেখা জিহাদি বই অনেক জঙ্গিকে সন্ত্রাসী হামলায় অনুপ্রাণিত করে।

সাজাপ্রাপ্ত চরমপন্থি ফরিদ বেনিয়েতো বলেন, জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময় আমি নষ্ট করেছি। অনেক নিরীহ মানুষ আমার জন্য প্রাণ হারিয়েছে যা আমাকে এখনো অনুতপ্ত করে।

সিরিয়া ও ইরাকে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠায় জিহাদি মতবাদ প্রচারকারী ২০০ ইউরোপীয় চরমপন্থিকে আগামী দু’বছরের মধ্যে মুক্তি দেয়া হবে। এসব বন্দিকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে ইউরোপের দেশগুলো এখনো প্রস্তুত নয় বলে মনে করছেন ফরিদ নিজেও।

সাজাপ্রাপ্ত চরমপন্থি ফরিদ বেনিয়েতো আরো বলেন একজন বিচ্ছিন্নতাবাদীর মনে কি চলছে তা আমাদের জানতে হবে। আমাদের বুঝতে হবে, তাদের ও আমাদের চিন্তাভাবনার মধ্যে পার্থক্যটা কোথায়।

ব্রিটেনে মুক্তির পর পুনর্বাসনের নামমাত্র ব্যবস্থা থাকলেও অন্য দেশগুলোতে এমন কোন প্রকল্প নেই। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যথাযথ পুনর্বাসন সম্ভব না হলে আবারো চরমপন্থার দিকে ঝুঁকতে পারে মুক্তি পাওয়া বন্দিরা।

গবেষক থমাস রেনার্ড বলেন, জেল খেটে এসে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সংগ্রামটা সবচেয়ে কঠিন। সিরিয়া-ইরাকে চরমপন্থিদের সাথে দীর্ঘদিন যুদ্ধক্ষেত্রে থাকার পর একটা মানুষ যখন কারাগারে যায় তখন স্বাভাবিক জীবন থেকে সে একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে। এসময় সে মানসিকভাবেও খুবই দুর্বল থাকে। তাদের মধ্যে অপরাধী জীবনে ফিরে যাবারও একটা প্রবণতা থেকে যায়।

দেশের বাইরে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় এসব নাগরিকদের অনেকে নিজের দেশেই থিতু হয়েছেন। তবে এসব চরমপন্থি ইউরোপের জন্য এখনো ‘হুমকি’ কি না এবং তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে কি ভূমিকা রাখছে ইউরোপ সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

8 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন