২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

এক হাজার মণ আম ও ৪০ টন খেজুর ধ্বংস

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:২২ অপরাহ্ণ, ১৭ মে ২০১৮

কৃত্রিমভাবে আম পাকানোয় ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করেছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সঙ্গে এক হাজার মণ আম ও ৪০ টন খেজুর জব্দের পর ধ্বংস করা হয়।

র‌্যাব সদর দপ্তর এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সারওয়ার আলম এবং র‌্যাব-১০ এর পরিচালনায় বিএসটিআই’র ফিল্ড অফিসার মোঃ সহিদুল ইসলাম ও ফরহাদ হোসেনদের সহযোগিতায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বিএসটিআই এর মিনিল্যাব, মেজারিং ডিভাইস স্থাপন করতঃ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এর স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমানের সমন্বয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।

অভিযান পরিচালনা কালে সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন জেলা হতে অপরিপক্ক কাঁচা আম নিয়ে এসে আমের ঝুড়িতে মাত্রাতিরিক্ত ক্ষতিকারক ইথোফেন, কার্বাইড ও অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান দিয়ে পাকানো হচ্ছে। এছাড়াও ক্ষতিকারক অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান দিয়ে দ্রবণ তৈরি করে আমের ঝুড়িতে স্প্রে করে আম দ্রুত পুরোপুরি হলুদ রং ধারণ পূর্বক পাঁকানোর ব্যবস্থা করে যা শিশু ও জন স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

যাত্রাবাড়ী ফলের আড়তের মোট ৯টি ফলের দোকানে অভিযান পরিচালনা করে সর্বমোট ১০০০ টন কেমিক্যাল যুক্ত অপরিপক্ক আম জব্দ করতঃ ফলের আড়তের সামনে পাকা রাস্তার উপর জন সম্মুখে সে সব আম বুলডোজার দ্বারা ধ্বংস করা হয়।

যে সকল কেমিক্যাল ব্যবহার করে ফল পাকানো হয় সে সব রাসায়নিক বোতলের গায়ে সতর্কীকরণ লেখা থাকে ‘ফল পাকানোর কাজে ব্যবহার নিষিদ্ধ’। গুদামজাতকৃত খেজুরে কোন ধরণের কেমিক্যাল এর উপস্থিতি পাওয়া না গেলেও মেয়াদোর্ত্তীর্ণ হওয়ায় প্রায় ৪০ টন খেজুর জব্দ পূর্বক জনসম্মুখে ধ্বংস করা হয়।

র‌্যাবের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সারওয়ার আলম আটককৃতদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত করে ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড ও ১টি ফলের আড়তের মালিককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেন।

7 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন