২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

কবর থেকে বাবার লাশ গায়েব করলেন দুই ছেলে!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:৫৪ অপরাহ্ণ, ০৯ অক্টোবর ২০১৮

বাবাকে হত্যা করার পর আলামত গায়েব করতে রাতের আঁধারে কবর থেকে লাশ সরিয়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে তারই দুই ছেলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কনকদিয়া গ্রামে। গত ১০ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ আদালতে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন নিহতের অপর ছেলে ইউসুফ আলম। ওই ঘটনায় আদালত পটুয়াখালী পিবিআইকে ১১ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) বেলা ১১টায় উপজেলার কনকদিয়া গ্রামে ওই মামলার তদন্ত করতে সরেজমিনে আসেন পটুয়াখালীর পিবিআই কর্মকর্তা এসআই তৈয়বুর রহমান।

এজাহার সূত্র জানিয়েছে- জেলার বাউফল উপজেলার কনকদিয়া গ্রামের বাসিন্দা কালু হাওলাদারের (৬৭) ছেলে রুহুল আমিন ও ইয়াকুব হাওলাদার সুকৌশলে তার বাবার সব সম্পত্তি তাদের নামে হেবা দলিল করে নেয়।

এ ছাড়াও কালু হাওলাদারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দেখাশোনার দায়িত্বে থাকার সুবাদে ব্যবসার সব টাকাও হাতিয়ে নেয় তারা। ঘটনার তিন মাস পূর্বে কালু হাওলাদার ছেলেদের অসৎ উদ্দেশ্যের বিষয়টি বুঝতে পেরে সম্পত্তির দলিল ও ব্যবসার টাকা ছেলেদের কাছে ফেরত চান। আর এতেই ঘটে বিপত্তি। তখন থেকেই ওই দুই ছেলে তার বাবা কালু হাওলাদারকে খুন করার পরিকল্পনা করতে থাকে।

এরপর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্দেশে চলতি বছরের ৮ মে ওই দুই ছেলে তাদের মাকে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এরপর রাত আনুমানিক ৯টার দিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় কালু হাওলাদারকে।

স্থানীয়রা জানান, নিহতের মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখা গিয়েছিল এবং সম্পূর্ণ মাথা কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল। গোসলের সময় নিহতের মাথায় জখম হওয়া ওই অংশ কাউকে দেখতে দেয়া হয়নি।

মামলার বাদী ইউসুফ আলম বরিশালটাইমসকে জানান, আমার দুই ভাই আমাদেরকে খবর দেয় যে বাবা খুবই অসুস্থ। এরপর আমি বাড়ি ফিরে লাশ দেখতে পেলেও দুই ভাইদেরকে দেখতে পাই নাই। শুধু তাই নয়, তারা মামলার কথা জানতে পেরে রাতের আঁধারে বাবার লাশ কবর থেকে সরিয়ে ফেলেছে।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তৈয়বুর বরিশালটাইমসকে বলেন- মামলার তদন্তকাজ চলছে। রিপোর্ট দাখিল না করা পর্যন্ত কিছুই বলা যাবে না।

6 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন