১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

কলকাতায় ধর্ষণের পর শিশুকে রাস্তায় ফেলে গেল বন্ধুর বাবা

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:২৯ অপরাহ্ণ, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বাড়ির সামনের দোকান থেকে মোবাইলের রিচার্জ কার্ড কিনতে বের হয়েছিল সাত বছরের মেয়ে। পাড়ার তারই বয়সী আরেক মেয়ের বাবার সঙ্গে দেখা। লোকটি আগে থেকেই চেনা। পিতৃতুল্য সেই লোকই মেয়েটিকে ভুলিয়েভালিয়ে নিয়ে যান। সারাদিন শহরের নানা প্রান্তে ঘুরিয়ে, যৌন নির্যাতন চালিয়ে ফেলে দিয়ে যান রাস্তায়। অর্ধচেতন অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনা দেখিয়ে দিল, ওই শহরে শৈশব নিরাপদ নয় মোটেই। শিশুটির বয়ানের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অপহরণ ও শিশুদের যৌন নির্যাতন বিরোধী আইনের (পকসো) ৪ নম্বর ধারায় মামলা করেছে।

শিশু ধর্ষণের অভিযোগেই সাধারণত এই ধারা প্রযুক্ত হয়। তবে পুলিশ মৌখিক ভাবে ‘ধর্ষণ’ শব্দটি উচ্চারণ করেনি। অভিযুক্ত এলাকাছাড়া। গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাকে ধরা যায়নি।

পুলি‌শ ও অভিভাবকদের দাবি, শিশুটি বলেছে, বন্ধ দোকানের সামনে তার সঙ্গে ওই পরিচিত ব্যক্তির দেখা হয়। বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে লোকটি তাকে প্রথমে কিছু খাওয়ায়। তার পর দিনভর বাসে-ট্রেনে নানা জায়গায় নিয়ে যায়।

বাবুঘাট আর শিয়ালদহ এলাকা চিনতে পেরেছিল সে। পুলিশের মতে, মেয়েটি আর যা যা বলেছে, তাতে যৌন নিগ্রহই উঠে আসছে। চিৎকার করলে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকিও দিয়েছিল লোকটি। লোকটিই পরে তাকে বৌবাজার এলাকায় ছেড়ে পালায়।

অভিযুক্তের বাড়ি তালতলা এলাকায় বলে শিশুটি জানিয়েছে। ইতোমধ্যেই পুলিশ তার ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়ে এলিয়ট রোডের একটি হোমে পাঠিয়ে দিয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে রিপন স্ট্রিটের চারপাশের রাস্তার সিসিটিভি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারটি রিপন স্ট্রিটেই একটি বাড়ির একতলায় ঘরভাড়া নিয়ে থাকে। বৃহস্পতিবার শিশুর মা জানান, তার তিন মেয়ে। নিগৃহীত মেয়েটি মেজো। গত সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ তাকে মোড়ের দোকান থেকে রিচার্জ কার্ড কিনতে পাঠিয়েছিলেন। বেশ কিছুক্ষণ পরেও সে ফিরল না দেখে বড় বোন বেরিয়ে দেখে, দোকানটি বন্ধ।

তিনি আরো জানান, দুপুরে পার্ক স্ট্রিট থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার। রাতে ফোন আসে বৌবাজার থানা থেকে। বাবা-মা গিয়ে তাকে শনাক্ত করেন।’

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন