১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

কলপাড়ায় জেল থেকে বেরিয়ে মাদ্রাসা সুপারকে খুনের হুমকি!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:০৩ অপরাহ্ণ, ১১ আগস্ট ২০১৮

মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুই লাখ টাকা চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় সন্ত্রাসীদের হুমকির কারণে মাদ্রাসায় যেতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার আক্কেলপুর নূরিয়া দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান।

শনিবার (১১ আগস্ট) সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তিনি।

মাদ্রাসা সুপার অভিযোগ করেন, চাঁদা না দেয়ায় সন্ত্রাসীরা তাকে মারধর, তার বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। জামিনে বের হওয়া সন্ত্রাসীদের হুমকির মুখে মাদ্রাসায় যেতে পারছেন না তিনি। এ অবস্থায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপিসহ সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ দাবি করেনে তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাদ্রাসা সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, গত ২১ জুলাই সন্ধ্যায় মাদ্রাসার মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বের হওয়ার পর তার ওপর হামলা চালায় দুই লাখ টাকা চাঁদা চাওয়া রুহুল আমিন বাহিনীর সদস্য জুলহাস, ফারুক, আবু সালেহ, ইলিয়াস, মিরাজ, কেনান, আল আমিন, সাদ্দাম, আইয়ুব আলী, মানিকসহ আরও কয়েকজন। এতে তার বাম হাত ও ডান পাঁজরের হাড় ভেঙে যায়। পরে স্থানীয় মুসল্লিদের বাধার মুখে সন্ত্রাসীরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।

তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। হামলার ঘটনায় গত ২৯ জুলাই আদালতে তার ছেলে মামলা করেন (মামলা নম্বর-২৬/১৮)।

মামলা দায়েরের পর তার ছেলে ফয়সালকে খুন করার জন্য ৩০ জুলাই বিকালে রুহুল আমিন বাহিনীর সন্ত্রাসীরা তার বাড়িতে ঢুকে খুঁজতে থাকে বলে অভিযোগ করেন আব্দুল মান্নান। তিনি বলেন, ‘তাকে  (ছেলে) না পেয়ে সন্ত্রাসীরা বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান কাগজপত্র লুট করে। বৃদ্ধ মা-বাবা ও স্ত্রী আঞ্জুমান আরা খুশিকে মারধর করে। পরে মামলা না তুললে পরিবারের সবাইকে খুন করার হুমকি দেয় সন্ত্রাসীরা।’

একই দিন ওই সন্ত্রাসী বাহিনী তার শ^শুরবাড়িতে হামলা চালিয়ে ট্রাক্টর লুট করে নিয়ে যায় এবং তার শ্যালক আমীন মৃধার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন মাদ্রাসা সুপার। পরে কলাপাড়া থানা পুলিশের হাতে কয়েকজন সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার হয় এবং পুলিশের সহায়তায় ট্রাক্টর উদ্ধার করা হয়।

জামিনে মুক্ত হওয়া সন্ত্রাসীদের হুমকির মুখে বেশ কয়েকটি পরিবার মানবেতর জীবন-যাপন করছে জানিয়ে ওই মাদ্রাসা সুপার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপের দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসা সুপারের বাবা মোতালেব শরীফ, ছেলে ফয়সাল শরীফ, মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য নূর সাঈদ হাওলাদার, স্থানীয় বাসিন্দা ইদ্রিস মোল্লা প্রমুখ।

5 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন