২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে এএসআইয়ে লাখ টাকা চাঁদাবাজি (ভিডিও)

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৩:৪৬ অপরাহ্ণ, ৩০ জুন ২০১৮

ঝালকাঠিতে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে এক ব্যক্তির কাছ থেকে লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে সদর থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মিঠুন দাসের বিরুদ্ধে। পৌরসভার রোলার চালক ইয়াছিনকে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে স্থানীয় একটি ইটভাটায় আটকে এই রফাদফা করা হয়েছে।

অবশ্য এই রফাদফার মধ্যস্ততায় ছিলেন ওই ইটভাটা মালিক পৌর কাউন্সিলর জাকির হোসেন। তবে পুলিশ কর্মকর্তা দাবির ১ লাখ টাকা শেষত্বক দিতে ইয়াছিনের মোটরসাইকেলটি কাউন্সিলর নিজের জিম্মায় রেখে এএসআইকে ১ লাখ টাকা দিয়ে বিদায় করেন।

এই ঘটনাটি দীর্ঘদিন লুকোচাপা থাকলেও ভুক্তোভুগী ইয়াছিনের সাংবাদিকদের কাছে দেওয়ার সরল স্বীকারোক্তি একটি ভিডিওচিত্র শোরগোল ফেলে দিয়েছে।

ভিডিওচিত্রে প্রকাশ- ঝালকাঠি পৌরসভার কোয়াটারের বসবাসরত রোলার চালক ইয়াছিনকে গত ১৪ জুন সন্ধ্যায় এএসআই মিঠুনের সোর্স তাজুল স্থানীয় চামটা বাজারের কাছে ডেকে নেন। ওই সময় তাকে ইয়ছিনের পকেটে বেশ কয়েক পিস ইয়াবা ঢুকিয়ে দেন তাজুল। পাশেই ওঁৎ পেতে থাকা এএসআই মিঠুন দাস দ্রুত ছুটে গিয়ে ইয়ছিনকে আটক করেন। পরক্ষণে নিয়ে যান পার্শ্ববর্তী কাউন্সিলর জাকিরের ইটভাটায়।

সেখানে জিম্মি রেখে ইয়াছিন একচোট মারধর করে ক্রসফায়ারের ভয়ভীতি দেখান এএসআই মিঠুন। এমনকি সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নাম উচ্চরণ করেও পুলিশ কর্মকর্তা বলেন ‘‘বিষয়টি সার্কেল সাহেব’’ জানলে তোকে ক্রসফায়ার দিতে বলবে।’

এতে ইয়াছিন ভয় পেয়ে গেলে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু ২ লাখ টাকা দিতে অপারগ জানালে কাউন্সিলর জাকিরের মধ্যস্ততায় ১ লাখ টাকায় রফাদফা হয়।

রাতে মোটরসাইকেল বন্ধক রেখে ১ লাখ টাকা দিয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তার কাছে পৌঁছে দেন রোলার চালক। কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে শহরের দীর্ঘদিন গুঞ্জন শোনা গেলেও ভুক্তোভুগী ইয়াছিন ভয়ে খুলছিলেন না। সর্বশেষ শুক্রবার রাতে সাংবাদিকদের প্রশ্নবানে অনেকটা বাধ্য হয়ে ক্যামেরার সামনেই মুখ খোলেন তিনি। ফলে প্রকাশ পায় ঝালকাঠি পুলিশের ভয়ানক রুপ।

যদিও এই বিষয়টি নিয়ে মুঠোফোনে বেশি কথা বলতে নারাজ জানিয়েছে মধ্যস্তততাকারী জাকির বলছেন তিনি বর্তমানে রাজধানীতে অবস্থান করছেন। মঙ্গলবার বরিশালে এসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন।’

তবে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা মিঠুন দাস এই ঘটনার সাথে নিজের জড়িত থাকার পুরো বিষয়টি বরিশালটাইমসের কাছে অস্বীকার করেছেন।

ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোমিত কুমার গায়েন বলছেন- বিষয়টি শুনেছেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’

 

2 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন