নিরাপরাধ এক ব্যক্তিকে ক্রসফায়ারের ভয়ভীতি দেখিয়ে লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ঝালকাঠি সদর থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মিঠুন দাসের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রাথমিক শাস্তিস্বরুপ তাকে থানা থেকে সরিয়ে পুলিশ লাইনসে ক্লোজড করার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ঝালকাঠি জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জোবায়দুর রহমানের নির্দেশে সোমবার (০২ জুলাই) রাতে তাকে থানা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোমিত কুমার গায়েন।

সদর থানা পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে- গত ১৪ জুন শহরের চামটা ব্রিজের পাশ থেকে পৌরসভার কর্মচারী ইয়াছিনকে এক সোর্সের মাধ্যমে ইয়াবা দিয়ে ধরে নিয়ে যান এএসআই মিঠুন দাস ও মিন্টু লাল। পরবর্তীতে ওই ব্যক্তিকে পার্শ্ববর্তী একটি ইটের ভাটায় আটকে মারধর করে ক্রসফায়ারের ভয়ভীতি দেখান দুই পুলিশ কর্মকর্তা।

একপর্যায়ে বিষয়টি জনৈক এক কাউন্সিলরের মধ্যস্ততায় এক লাখ টাকায় সমঝোতা হলে কর্মচারী ইয়াছিন নিজের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি বন্ধক রেখে ওইদিন রাতেই টাকা পৌছে দেন মিঠুনে হাতে।

এই বিষয়ে গত ৩০ জুন ভুক্তোভোগী ইয়াছিন মিডিয়ার কাছে মুখ খোলেন। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে ভিডিও সংবলিত ‘ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে এএসআইয়ের লাখ টাকা চাঁদাবাজি’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে বরিশালটাইমস। এতেই শুরু হয় ঝালকাঠি পুলিশে তোলপাড়।

যদিও বিষয়টি ফাঁস হওয়ার পরেই সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশ সুপার জোবায়দুর রহমান বলে আসছিলেন অপরাধ করলে শাস্তি পেতে হবে। অবশ্য শেষ পর্যন্ত নিজের সিদ্ধান্তে অনঢ় থাকলেন তিনি।’

এই পুলিশ কর্মকর্তার ভাষ্য হচ্ছে- অপরাধ বা অপরাধীর সাথে আপোষ করার কোন সুযোগ নেই। প্রাথমিক ভাবে এএসআইয়ের বিরুদ্ধে প্রমাণ মেলার তাকে থানা থেকে ক্লোজড করা হয়েছে। পরবর্তীতে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’