২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

খুনিকে ছেড়ে দিলেন গৌরনদী ওসি!, পুলিশের তদন্ত কমিটি গঠন

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:১৩ অপরাহ্ণ, ২৬ নভেম্বর ২০১৭

কলেজছাত্র সাকির গোমস্তা (১৮) খুন মামলার এজাহারভূক্ত আসামিকে গ্রেফতার করে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বরিশালের গৌরনদী থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ওই কমিটিকে আগামী ৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রোববার বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম বরিশালটাইমসকে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মফিজুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটির প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে কলেজছাত্র সাকির গোমস্তা’র মা আলেয়া বেগম বরিশালটাইমসকে জানান- পালরদী মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) তপন কুমার রায়কে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে সাকিরকে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বখাটে সোহেল গোমস্তা, ইমরান মীর, সুমন হাওলাদার, রিয়াজ খান, ফাহিমসহ ৫ থেকে ৬ জন মিলে সাকিরকে পিটিয়ে জখম করে।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোররাতে সাকির মারা যায়। সাকির ওই কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।

ওই ঘটনার পরপরই সাকিরের মা গৌরনদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যা সাকিরের মৃত্যুর পর হত্যা মামলায় রূপ নেয়। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ওই মামলার এজাহারভূক্ত আসামি ফাহিমকে মারধর করে গৌরনদী থানার উপ-সহকারী পরিদর্শক (এসআই) মো. শামছুউদ্দিনের কাছে সোপর্দ করেন। কিন্তু পরক্ষণে তাকে ওসির নির্দেশে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বরিশালটাইমসকে বলছেন- ফাহিমকে ছেড়ে দেওয়া হয়নি। সে থানা থেকে কৌশলে পালিয়ে গেছে। আসামি পালানোর পরে কেউ লিখিত অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেননি।

তাছাড়া ফাহিম ওই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র তার পড়নে স্কুলের পোশাক থাকায় তাকে হাজতে রাখা হয়নি। যে কারণে সে পালানোর সুযোগ পেয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ মাঠে করছে।’’

 

5 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন