২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

খুনের হুমকি, অতঃপর গ্রেফতার শাহরুখ!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:৪০ অপরাহ্ণ, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

বলিউড বাদশা অভিনেতা শাহরুখ খান। বরাবরই ভদ্র ভাষার মানুষ ছিলেন তিনি। কখনো রাগ চড়া হতে দেখা যায় নি এই অভিনেতাকে। কিন্তু একবার এক সাংবাদিককে এমন গালিগালাজ করেছিলেন এবং হুমকি দিয়েছিলেন উনি। পরে পুলিশ গ্রফতার করেছিল বলিউডের বাদশা কে!

একবার একটা জনপ্রিয় ফিল্ম ম্যাগাজিনে শাহরুখ সম্বন্ধে একটা আর্টিকল প্রকাশিত হয়। সেখানে লেখা হয় একজন পরিচালকের কথায় নাকি শাহরুখ একজন অভিনেত্রীর সাথে রাত কাটিয়েছেন।

এটা পড়ার পর শাহরুখ প্রচণ্ড রেগে গিয়ে ওই পত্রিকার একজন সাংবাদিককে মেরে ফেলার হুমকি দেন। অনুপমা চোপড়া পরে এই বিষয়ে ওর বই ‘কিং অফ বলিউড : শাহরুখ খান অ্যান্ড দ্য সিডাকটিভ ওয়ার্ল্ড অফ ইন্ডিয়ান সিনেমা’তে এই ঘটনার উল্লেখ করেন।

সালটা ছিল ১৯৯২। এই সময় শাহরুখ ‘মায়া মেমসাব’ ছবির জন্য একটা অত্যন্ত অন্তরঙ্গ দৃশ্যের শুটিং করেন অভিনেত্রী দীপা শাহির সাথে। এই ছবির পরিচালক ছিলেন দীপা শাহির স্বামী কেতন মেহতা।

ওই সময়কার জনপ্রিয় ফিল্মি পত্রিকা সিনে ব্লিতজ একটা আর্টিকল প্রকাশ করে। সেই আর্টিকল থেকে জানা যায় কেতন মেহতা নাকি শাহরুখকে দীপার সাথে একটা হোটেলে রাত কাটানোর নির্দেশ দেন অন্তরঙ্গ দৃশ্যের শুটিং এর আগে। যাতে ওরা একসঙ্গে রাত কাটানোর পর স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন এবং সহজেই ওই দৃশ্যটার শুটিং করতে পারেন।

সেইখান থেকে আরও জানা যায় শাহরুখ নাকি কেতনের কথায় রাজি হয়ে দীপার সাথে রাত কাটান। এবং এর পরের দিন ওই দৃশ্যের শুটিং হয়।

পত্রিকাতে প্রকাশিত ওই আর্টিকলটা যিনি লেখেন তার নাম প্রকাশ করা হয়নি। কিন্তু এর কয়েকদিন পরে এই পত্রিকার একজন সাংবাদিক কেত ডি কোস্টা’র সাথে দেখা হয় শাহরুখের। শাহরুখ ধরেই নেন ওই আর্টিকলটা কেত লিখেছেন। উনি সবার সামনেই কেত কে গালাগালি দেন।

এখানেই শেষ নয়। সেই রাতে কেত কে ফোন করে ওকে মেরে ফেলার হুমকি দেন শাহরুখ। এবং তার পরের দিন সত্যিকারের কেতের বাড়িতে গিয়ে কেতের বাবা মায়ের সামনেই সাংবাদিককে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন উনি। গালিগালাজ করা ছাড়াও উনি কেত কে আরও একবার মেরে ফেলার হুমকি দেন।

পত্রিকার সম্পাদকের বুদ্ধিতে কেত শাহরুখের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয়নি‚ শাহরুখ ওকে ফোনে হুমকি দিতেই থাকেন। এরপর শাহরুখকে গ্রফতার করে পুলিশ। ততদিনে শাহরুখ একজন নামকরা স্টার হয়ে গেছেন। তাই জেলে পোড়া হয়নি ওকে।

এমনকি থানাতে কয়েকজন পুলিশ ওর অটোগ্রাফও নেন। সেখানে শাহরুখ পুলিশের কাছে একজনকে একটা ফোন করার অনুরোধ করেন। এবং অবিশ্বাস্য হলেও ওকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাউকে ফোন না করে উনি কেত কে ফোন করে থানা থেকে গালাগালি দেন।

2 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন