২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

চুপ করে থাক, না হয় মেরে ফেলব

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৬:১১ অপরাহ্ণ, ১৭ অক্টোবর ২০১৮

শরীয়তপুর সদর উপজেলায় অস্ত্রের মুখে বাড়ির সবাইকে বেঁধে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে ডাকাত দল। মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টা থেকে রাত ৪টা পর্যন্ত পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কুরাশি ও ৩নং ওয়ার্ডের বাঘিয়া গ্রামে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, ১৮ থেকে ২০ জন ডাকাতের একটি দল রাত দেড়টার দিকে ঘরের দরজা ভেঙে প্রথমে পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাঘিয়া আব্দুস সোবাহান হাওলাদারের বাড়ি পরে রাত ৩টার দিকে ২নং ওয়ার্ডের কুরাশি গ্রামের আব্দুল মালেক ছৈয়ালের ঘরে ঢুকে। এ সময় বাড়ির লোকজন চিৎকার করলে শিশুসহ পরিবারের সকলকে হাত-পা বেঁধে আড়াই ঘণ্টা ধরে মালামাল লুটপাট করে ডাকাতরা। এরপর ঘরের সবকিছু তছনছ করে দুই বাড়ি থেকে আটটি মোবাইল, এক লাখ দুই হাজার টাকা ও ১৭ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও আসবাবপত্র নিয়ে যায় তারা।

ডাকাতির শিকার আব্দুল মালেক ছৈয়াল বলেন, বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী, সন্তান, ভাই, ভাইর স্ত্রীদের নিয়ে এক ঘরেই থাকি। রাত তখন আনুমানিক ৩টা হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। শব্দ পেয়ে ঘুম থেকে উঠে দেখি ঘরের ভেতর ১৫-১৭ জন লোক। ওরা আমাদের সবাইকে বেঁধে প্রথমে মোবাইলগুলো নিয়ে যায়। পরে সাত ভরি স্বর্ণ, ৬০ হাজার টাকা, চারটি মোবাইল ও আসবাবপত্র পর্যন্ত নিয়ে গেছে।

আব্দুল মালেক ছৈয়ালের ৭ বছর বয়সী মেয়ে শান্তা আক্তার বলে, সবার চিৎকার শুনে ঘুম থেকে উঠলে ডাকাতরা আমার মুখ চেপে ধরে। বলে চুপ করে থাক, না হয় মেরে ফেলব। পরে আমার কানের দুল নিয়ে যায়।

আব্দুস সোবাহান হাওলাদার বলেন, ডাকাত দল ঘরে ঢুকে চারটি মোবাইল, ৪২ হাজার টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণ নিয়ে যায়। ডাকাতদের প্রত্যেকের হাতে টর্চ লাইট ও অস্ত্র ছিল।

পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা সরেজমিনে গিয়ে দেখছি। এখনো কেউ কোনো অভিযোগ অথবা মামলা করেননি।

1 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন