২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

চেয়ার নিয়ে নতুন বিতর্কে কথিত আ’লীগ নেতা আরিফিন মোল্লা!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৫:৩১ অপরাহ্ণ, ২৭ আগস্ট ২০১৮

নাম তার আরিফিন মোল্লা। বরিশাল শহরের পশ্চিম অঞ্চলে সন্তান হলেও বসবাস ছিল রাজধানীতে। নেই কোন রাজনৈতিক পরিচয়। এমনকি রাজনৈতিক মহলেও তিনি কোন পরিচিত মুখ নন। কিন্তু ঘটনাচক্রে নিজেকে দাবি করছেন মস্তবড় আওয়ামী লীগ নেতা! তকে কেউ না চিনলেও ব্যানার পোস্টারে নিজেকে জাহির করতে থেমে নেই তিনি। নিজেকে বরিশাল আওয়ামী লীগের নেতা পরিচয় দিয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধনমন্ত্রীর ছবি সংবলিত পোস্টার ফেস্টুনে ছেয়ে ফেলেছেন গোটা বরিশাল। এমনকি ওই ব্যানারে দক্ষিণাঞ্চল আওয়ামী লীগের অভিভাবক আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর ছবিও দেখা গেছে।

এই পুরো বিষয় নিয়ে স্বঘোষিত আওয়ামী লীগ নেতা আরিফিন মোল্লা এখন আলোচনা সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এমন পরিস্থিতিতে এই ব্যক্তি নিজের চেয়ারটিতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা তৈরি করে ফের নতুন বিতর্কে জড়ালেন। সদর উপজেলার কড়াপুুর ইউনিয়নে তার বাসার গেস্টরুমে নৌকা সংবলিত চেয়ারটি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদেরকে প্রশ্নের মুখোমুখি দাড় করিয়েছে। দলের পরিচয় নেই এমন ব্যক্তির চেয়ারে নৌকা প্রতীক হওয়ায় এখানকার আওয়ামী লীগের নেতাদেরকেও অস্বস্তিতে ফেলেছে। কারণ সাম্প্রতিকালে তার কর্মকান্ড নিয়ে মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরে বরিশালে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

সেই বিতর্কের রেশ এখনও শেষ হয়নি। বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমপি তালুকদার মোহাম্মাদ ইউনুস বলছেন- আওয়ামী লীগ কারও বাবার সম্পত্তি নয়। যে কোন কেউ এসে নিজেকে নেতা দাবি করবে। নেতা হতে গেলে দলে পদপদবির অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে। এর বাইরে কেউ নিজেকে নোতা দাবি করলে সেটা বেমানান।

তাছাড়া কেউ যদি নৌকা প্রতীক ব্যবহার করে ফায়দা লোটার সুযোগ নেয় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে। ফলে আরিফিন মোল্লা যে স্বীকৃত কোন নেতা নন তা ইউনুস তালুকদাদের বক্তব্যই প্রকাশ করে দিয়েছে। তাছাড়া আরিফিন মোল্লার পরিবারও জামায়াত বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।’

কিন্তু তার পরেও নিজেকে নেতা বানানোর খায়েশ কেন এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে আরিফিন মোল্লা দম্ভোক্তি করে বলেন শুধু নেতারা কেন কর্মীসমর্থকরাও নৌকা প্রতিক ব্যবহারের সক্ষমতা রাখে। এমনকি নৌকার ব্যবহার নিয়ে আইনও দেখানোর চেষ্টা করে বলেন- আমার চেয়ারে নৌকা থাকবে না এটার আইন কি।

এমতাবস্থায় বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলালের অভিব্যক্তি হচ্ছে- বিষয়টি মিডিয়ার কল্যাণে তাদের নজরে এসেছে। শীঘ্রই দলীয় ফেরামে এ বিষয়টি আলোচনায় রাখার প্রস্তাব নেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে সেখানে আলোচনা করে কেন্দ্রকে অবগত করার সিদ্ধান্ত রয়েছে।’

2 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন