২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

ঝালকাঠিতে মাঝিদের স্বেচ্ছাশ্রমে ঘাটলা নির্মাণ

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৪:২৮ অপরাহ্ণ, ১৩ অক্টোবর ২০১৮

ঝালকাঠি পৌর খেয়াঘাট থেকে পোনাবালিয়া ইউপি নয়ারাস্তা মধিপুরের ট্রলার ঘাট না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে যাত্রীসহ ট্রলার মাঝিদের। তাই জোড়াতালি দিয়ে মাঝিদের নিজ খরচে ও স্বেচ্ছাশ্রমে প্রয়াই কাঠের ঘাট তৈরি করতে হচ্ছে। দীর্ঘদিনেও এখানে পাকা ট্রলার ঘাট নির্মাণ না করায় প্রতিদিন শত শত যাত্রীদের ট্রলারে উঠা-নামায় দুর্ভোগ হচ্ছে। কারণ নদীর পানি জোয়ার ভাটায় উঠানামা করায় যাত্রীদের কাঁদা পানি পেরিয়ে উঠানামা করতে হয়।

প্রতি বছর প্রায় দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে ইজারা দেয়া হলেও সুগন্ধা নদীর দুপাড়েই নির্মাণ করা হয়নি কোন পাকা ঘাট বা সিঁড়ি। তাই ইজারাদারসহ সাধারণ যাত্রীদের দাবি দ্রুত সুগন্ধা নদীর দুই পাড়ে পাকা ঘাট বা সিঁড়ি নির্মাণ করা হোক।

এ বিষয়ে ঘাটের ইজারাদার সাইদুল ব্যাপারী জানান, দেশের উন্নয়নে এত কাজ করা হচ্ছে, কিন্তু আমাদের পৌর খেয়া ঘাটের যাত্রী দুর্ভোগ লাঘবে এখানে কোন পাকা ঘাট নির্মাণ করা হয়নি। এ জন্য আমরা নেতাদের শরণাপন্ন হলেও কোন সুফল পাইনি।

ইজারাদার আরো জানান, পৌরসভা থেকে প্রায় ২ লাখ টাকায় এ ঘাটের ইজারা নেই। কিন্তু নদীর দু’পাড়ে কোন পাকা স্থায়ী ট্রলার ঘাট নির্মাণ না করায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। তাই বাধ্য হয়ে আমরা নিজেরাই শ্রম ও অর্থ দিয়ে কাঠের তৈরি ঘাট নির্মাণ করছি। এ ঘাট দিয়ে বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের উঠানামা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।

ঘাটের মাঝি মো. বেলায়েত জানান, অনেক আগে জেলা পরিষদ থেকে একটি ঘটনা নির্মাণ করা হয়েছিল। তা মাটির নীচে দেবে গেছে। বর্তমানে আমরা এ ঘাটের ২৪ জন মাঝি মিলে নিজস্ব শ্রম ও অর্থ দিয়ে তক্তা দিয়ে সিঁড়ি তৈরি করে দায়সারা ভাবে চালিয়ে যাচ্ছি।

এ বিষয়ে ঝালকাঠি পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার জানান, এই ঘাটলা দুটি নির্মাণের বিষয়ে আমার পরিকল্পনা আছে। বিশেষ করে যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবের বিষয়টি মাথায় রেখেই ইতিমধ্যেই ঘাটলার প্রাক্কলন তৈরি করা হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব এই প্রক্রিয়া শেষ হলেই দু’পাড়ে ঘাটলা নির্মাণ করা হবে।

0 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন