২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

ঝড়ে বঙ্গোপসাগরে ৩ ট্রলারডুবি, ২০ জেলে উদ্ধার, নিখোঁজ ২

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৬:৫৬ অপরাহ্ণ, ০১ আগস্ট ২০১৮

বৈরী আবহাওয়ার কারণে সমুদ্র উত্তাল থাকায় বঙ্গোপসাগরে মঙ্গলবার গভীর রাতে দুটি এবং বুধবার (০১ আগস্ট) দুপুরে একটি মাছ ধরার ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। অপর দুটি মাছ ধরার ট্রলার ২২ জেলেকে উদ্ধার করে বুধবার বিকেলে মৎস্যবন্দর মহিপুরে নিয়ে এসেছে।

ফিরে আসা জেলেরা জানিয়েছেন- বৈরী আবহাওয়ার কারণে সমুদ্র উত্তাল হওয়ায় নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশ্যে মৎস্যবন্দর আলীপুরে-মহিপুরে ফিরে আসার পথে কুয়াকাটা থেকে প্রায় ৪০ কি.মি. গভীরে সোনার চর এলাকায় বঙ্গোপসাগরে তাদের ট্রলার ডুবে যায়। এফবি মায়ের দোয়া মঙ্গলবার রাত ১১টায়, এফবি নায়েতহবিল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় এবং এফবি পলাশ বুধবার দুপুরে নিমজ্জিত হয়।

বুধবার সকাল ১০টার দিকে ডুবে যাওয়া এফবি মায়ের দোয়া ও এফবি নায়েতহবিল নামের দুই ট্রলারের ২০ মাঝি-মাল্লাকে এফবি আল-আমিন নামের একটি মাছধরার ট্রলার মৎস্যবন্দর আলীপুরে বিকেল ৩টার দিকে নিয়ে আসে। এফবি পলাশ ট্রলারটি দুপুর ২টার দিকে এফবি সিকদার ট্রলারের মাঝি ফোরকান মিয়া উদ্ধার করে বিকেলে মহিপুর ঘাটে নিয়ে আসে।

এফবি সিকদার ট্রলারের নশুমিয়া (২৬) ও রহমান সিকদার (৩২) নামে দুই জেলে নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন এফবি পলাশ ট্রলারের মাঝি আলী হোসেন। উদ্ধার হওয়া জেলেরা সবাই সুস্থ আছেন।

এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারটি রাঙ্গাবালী উপজেলার বড় বাইসদা ইউনিয়নের মো. জাফর মিয়ার। মালিক নিজেই ওই ট্রলারের মাঝি ছিলেন। একই এলাকার এফবি নায়েতহবিল ট্রলারের মালিক মো. বাহাউদ্দিন। এফবি পলাশ ট্রলারটি গলাচিপা উপজেলার গোলখালী এলাকার মো. পলাশ হাওলাদারের বলে জানা গেছে।

উদ্ধারকারী বরগুনা জেলার পাথরঘাটা এলাকার এফবি আল-আমিন ট্রলারের মাঝি মো. মাসুদ মিয়া জানান, নিরাপদ আশ্রয়ের লক্ষ্যে তিনি ট্রলার নিয়ে মৎস্যবন্দর মহিপুরে ফিরে আসছিলেন। সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে সোনার চরের বাহিরে ডুবে যাওয়া ট্রলার দেখতে পেয়ে সেখানে যান। ডুবে যাওয়া ট্রলারের সঙ্গে জেলেদের ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।

এফবি সিকদার ট্রলারের মাঝি ফোরকান মিয়া বরিশালটাইমসকে বলেন, আমি ঘাটে ফিরে আসার সময় জেলেদের সমুদ্রে ভাসতে দেখে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছি।’

5 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন