২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

ডায়াবেটিসে যেসব ফল খেতেই পারেন

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:১৮ অপরাহ্ণ, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কত কিছুই না করেন ডায়াবেটিস রোগীরা। এ জন্য খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে নিয়মিত ব্যায়াম- আরও কত কিছু। তবে কোনো কিছু খেতে গেলেই ডায়াবেটিস রোগীদের মনে কেবল একটি প্রশ্নই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে? তিনি যা খাচ্ছেন সেটি রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়াবে না তো? যাহোক, ডায়াবেটিস রোগীদের এই খাবার সমস্যার কিছুটা হলেও সমাধান দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেছেন, ডায়াবেটিস রোগীরা ফল খেতেই পারেন। ভিটামিন, মিনারেল এবং তন্তু থাকায় ফল খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের  রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।   বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, সতেজ ফলের এক টুকরো কিংবা ফলের সালাদ শুধু আপনার মুখের স্বাদই ফিরিয়ে আনবে না, একই সঙ্গে অধিক পুষ্টির জোগান দিয়ে সুস্থ থাকতেও সাহায্য করবে। ফলমূলে কার্বহাইড্রেট বিদ্যমান থাকায় খাবারের তালিকায় আপনি এটি রাখতেই পারেন।

‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’ অবলম্বনে জেনে নিন বিশেষজ্ঞরা ডায়াবেটিস রোগীদের কোন ফলগুলো খেতে বলেছেন-

কিউই
রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যাওয়ার সঙ্গে কিউই ফল খাওয়ার একটা সম্পর্ক রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় এর প্রমাণ পাওয়া গেছে।

কালোজাম
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কালোজাম নিঃসন্দেহে একটি উৎকৃষ্ট ফল। এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আবার কালোজামের বীজ গুঁড়া করে সেই পাউডার নিয়মিত খেলেও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।

পেয়ারা
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে পেয়ারা। কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধেও ফলটির জুড়ি মেলা ভার। পেয়ারায় উচ্চ মাত্রার ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং তন্তু রয়েছে। আবার এতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ( এটি হলো কোন খাবার খাওয়ার পর তা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কতটা বাড়ায় তার একটি আপেক্ষিক পরিমাপ) কম রয়েছে। চেরি
দিনের যে কোনো সময় চেরি ফল খাওয়াও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো। এই ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের মান ২০ ভাগের বেশি নয়।

পীচ
মজাদার ফল পীচ স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো। এই ফলে জিআই-এর মান অনেক কম হওয়ায় তা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারী।

বেরি
বেরিজাতীয় ফল বিশেষ করে স্ট্রবেরি, রাস্পবেরি, ক্র্যানবেরি এবং ব্ল্যাকবেরি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক ভালো। এগুলো রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

আপেল
আপেলে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বিদ্যমান থাকায় তা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে এই ফল হজম প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটায় এবং ইমিউন সিস্টেমকে বাড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া আপেলে পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান থাকায় তা চর্বিগুলোকে হজমেও সাহায্য করে।

ডুমুর
ফাইবার সমৃদ্ধ এই ফলটি ডায়াবেটিস রোগীদের ইনসুলিনের কার্যক্রমে সাহায্য করে।

ডালিম
ডালিমের লাল লাল ছোট দানাগুলো ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার পরিমাণকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। উল্লিখিত বেশিরভাগ ফলে ফ্রুক্টোজ এবং ফাইবার বিদ্যমান থাকায় তাদের জিআই-এর মান অনেক কম। তবে শুকনো কিছু ফল বিশেষ করে খেজুর, কিসমিস এবং ক্র্যানবেরি মতো বাঙ্গি এবং আনারসে মধ্যম মাত্রার  জিআই রয়েছে। তার পরও সামগ্রিকভাবে ডায়াবেটিস রোগীদের ফল খেতে উৎসাহিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

1 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন