১৭ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

শিরোনাম

তালতলীতে মেয়ে ধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে পিতা কারাগারে!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:৪৯ অপরাহ্ণ, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭

প্রতিবন্ধী কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণ করেছে এক আল আমিন নামে এক যুবক। সেই ঘটনায় বিচার চেয়ে থানায় মামলা করেন ধর্ষিতার মা। কিন্তু ধর্ষককে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

অথচ ধর্ষকের দায়ের করা একটি মামলা জেলহাজতে যেতে হয়েছে ধর্ষিতার বাবাকে। হকচকিয়ে যাওয়ার মত এই ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনার তালতলীতে।

প্রতিবন্ধী মেয়ে ধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে মিথ্যা মামলায় দরিদ্র বাবা মো. মোশারেফ হোসেনকে এখন রয়েছেন কারাগারে।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে বরগুনার পুলিশ সুপার বিজয় বসাকের সঙ্গে দেখা করে এসব কথা জানান প্রতিবন্ধী কিশোরীর মা রাণী বেগম।

পরে বরগুনা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের কাছে এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেন রিকশাচালক মো. মোশারেফ হোসেনের স্ত্রী ও নির্যাতনের শিকার প্রতিবন্ধী কিশোরীর মা রাণী বেগম।

এর আগে চলতি বছর ২৪ অক্টোবর প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বরগুনার তালতলী উপজেলার সওদাগর পাড়া গ্রামের মো. শাহ আলমের ছেলে আল-আমিনকে (২২) আসামি করে তালতলী থানায় মামলা করেন নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরীর মা।

মামলার পর বরগুনার পুলিশ সুপারের নির্দেশে ঘটনায় জড়িতদেরকে গ্রেফতারে চেষ্টা চালায় পুলিশ।

এদিকে গত ৩১ নভেম্বর বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নির্যাতনের শিকার কিশোরীর বাবা মো. মোশারেফ হোসেন এবং মা রানী বেগমকে আসামি করে একটি প্রতারণা মামলা করেন ধর্ষক আল-আমিনের বাবা মো. শাহ-আলম। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আড়াই লাখ টাকা ধার নিয়ে পরিশোধ না করা।

ওই মামলায় গত ৬ ডিসেম্বর আদালতে স্বেচ্ছায় হাজির হলে তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠান আদালত।

নির্যাতনের শিকার প্রতিবন্ধী কিশোরীর মা রাণী বেগম আক্ষেপ করে বলেন, গরিব মানুষের জন্য বিচার নাই। গরীব মানুষের পাশে কেউ নাই। দুনিয়ার সবাই জানে আমার প্রতিবন্ধী মেয়েকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছে আল-আমিন। এ ঘটনায় আমরা মামলা করলাম। মামলায় ধর্ষকের কিছুই হলো না। অথচ বিনাদোষে জেলে গেল আমার স্বামী।

এ বিষয়ে তালতলী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কমলেশ চন্দ্র হালদার বরিশালটাইমসকে জানান, তালতলী থানায় দায়ের করা ধর্ষণের মামলায় তারা সাক্ষ্যপ্রমাণ নিয়েছেন।

প্রাথমিকভাবে তারা ধর্ষণের তথ্য-প্রমাণ পেয়েছেন। কিন্তু ধর্ষক আল আমিন বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।

বরগুনার পুলিশ সুপার (এসপি) বিজয় বসাক বরিশালটাইমসকে জানান, ধর্ষণের অভিযোগ দায়েরের আগেই ভুক্তভোগী পরিবার তার সঙ্গে দেখা করে বিস্তারিত অবহিত করেন। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি তালতলী থানার ওসিকে মামলা নিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন।

এ ঘটনায় তালতলী থানায় মামলা নেয়া হয়েছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে বলে তিনি জানান।’’

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন