২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

নতুন বছরের সূর্যোদয়কে স্বাগত জানাতে কুয়াকাটায় লাখো পর্যটক

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:০৯ অপরাহ্ণ, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭

পর্যটন নগরী সাগরকন্যা কুয়াকাটায় শীতের হিমেল গোধূলীলগ্নে বছরের শেষ সূর্যাস্তকে বিদায় আর নতুন বছরের প্রভাতের সূর্যোদয়কে স্বাগত জানিয়েছে প্রায় লাখ লাখ পর্যটক। প্রতি বছরের মতো এবছরও পর্যটকদের এমন ভিড়ে মুখরিত কুয়কাটা সৈকতসহ সকল দর্শনীয় স্থান। খালি নেই হোটেল-মোটেল-কটেজের কক্ষ। পর্যটকদের আতিথেয়তা দিতে ব্যস্ত সময় পাড় করছে পর্যটন ব্যবসায়ী আর ট্যুরিস্ট ও নৌ-পুলিশ।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটা। মনোরম নৈসর্গিক দৃশ্যের হাতছানি ভ্রমণবিলাসী মানুষকে বারবার টেনে আনে সমুদ্রের কাছে। প্রতিবছর শীতের আগমনে পর্যটন মৌসুমের শুরু থেকে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বেলাভূমি সাগরকন্যা কুয়কাটা।

বিজয় দিবস, বড়দিন, ইংরেজি নববর্ষের ছুটির আনন্দ উপভোগ করতে দেশি-বিদেশি প্রকৃতি আর সমুদ্রপ্রেমী মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে সাগরকন্যার দীর্ঘ বেলাভূমি। পুরনো বছরকে বিদায় আর ইংরেজি নতুন বছরকে বরণে বড়দিনের ছুটি থেকে প্রায় লাখো পর্যটকের পদচারণায় এখন মুখরিত কুয়াকাটা।

সমুদ্রের ঢেউয়ের সাথে ভোরের সূর্যোদয় আর গোধূলি বেলার সূর্যাস্ত দেখে বিমোহিত পর্যটকরা। দর্শনীয় স্থানসহ পর্যটনমুখী ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়। তবে হোটেল-মোটেল-কটেজের কক্ষ খালি না পেয়ে অনেককেই আশ্রয় নিতে হয়েছে সাত-আট কিলোমিটার দূরের আবাসিক হোটেলে এবং বাসা-বাড়িতে।

আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে পর্যটকদের কাছ থেকে অনেকেই হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অংকের ভাড়া। অনেকেই তাও না পেয়ে রাত কাটছেন বিচে তাঁবু খাটিয়ে কিংবা বিচের ছাতার নিচে। তবে আবাসিক সংকট, অতিরিক্ত ভাড়া আর মূল্য রাখা নিয়ে অনেকের অসন্তোষ থাকলেও কুয়াকাটার নিরাপত্তা আর আতিথেয়তায় মুগ্ধ পর্যটক।

এবার কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের বাড়তি বিনোদনে যোগ হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার একর আয়তন নিয়ে বঙ্গোপসাগরের অথৈ জলে জেগে ওঠা চর বিজয় এবং সুন্দরবনে নৌ-ভ্রমণ।

গ্রীন লাইন ওয়াটার ওয়েজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলাউদ্দিন বরিশালটাইমসকে বলেন, প্রতিদিন সকাল ৭টায় কুয়াকাটা থেকে সুন্দরবনের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে আমাদের ভ্যাসেল। ভ্রমণে জনপ্রতি সাধারণ ১৫০০ টাকা, ইকোনমি ২৫০০ টাকা এবং ভিআইপি ৩৫০০ টাকা নেয়া হচ্ছে। সকালের নাস্তা, দুপুরের লাঞ্চ এবং বিকেলে ব্রেকফাস্ট দেয়া হবে। সুন্দরবনের চারটি পয়েন্টে ছোট নৌযানে ভ্রমণ শেষে বিকেলেই কুয়কাটা ফিরে আসবে।

সুরভী পরিবহনের কর্ণধার মাসুম খান বরিশালটাইমসকে বলেন, কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের বাড়তি বিনোদন এবং বৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য সুরভী পরিবহন এবং গ্রীন লাইন ওয়াটার ওয়েজের একটি ভ্যাসেল সার্ভিস চালু করা হয়েছে। কুয়াকাটার সকল আবাসিক হোটেল থেকে টিকিট সংগ্রহ করা যাবে। এছাড়া যে কোনো সুরভী পরিবহনের কাউন্টার থেকে গ্রীন লাইন-৭ এর টিকিট ক্রয় করা যাবে।

সূর্যোদয় দেখার জন্য রাত ৪টায় পর্যটকদের বের হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে টুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম বরিশালটাইমসকে বলেন, দর্শনীয় স্থানসহ পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও নৌ-পুলিশের পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন