২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

‘নাতনি’কে ধর্ষণ করলেন নানা!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:৪৯ অপরাহ্ণ, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার বীরতারার পাঁচনখালীতে দেড় বছরের শিশু কন্যা ধর্ষণের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও পার্শ্ববর্তী মধুপুর উপজেলার গোলাবাড়ী ইউনিয়নের বেলুটিয়া গ্রামে এবার উকিল নানার হাতে ৯ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে- বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে পাশের বাড়ির মৃত মেছের আলী সূত্রধরের ছেলে হাছন আলী (৪০) শিশুটিকে ঘরের ভেতর মাচার নিচ থেকে ইট বের করে দিলে ১০ টাকা দেয়ার কথা বলে কৌশলে বাড়িতে ডেকে আনে। ১০ টাকার লোভে শিশুটি ঘরের ভেতর মাচার নিচ থেকে ইট বের করতে থাকে। ইট বের করার একপর্যায়ে দুই একটি ইট বাকী থাকতেই হাছন আলী ঘরের দরজা হঠাৎ বন্ধ করে দেয়।

দরজা বন্ধ করে দিচ্ছেন কেন? আমি মাদ্রাসায় চলে যাব এ বলে শিশুটি ঘর হতে বেরুতে চেষ্টা করলে হাছন আলী মুখে ওড়না পেঁচিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করতে থাকে। ধর্ষণের একপর্যায়ে হাছনের ছোট ভাই আ. কাদেরের স্ত্রী কোনো এক জরুরি কাজের জন্য হাছনকে ডাকতে গেলে ডাকাডাকির একপর্যায়ে হাছন দরজা খুলে দিলে কাদেরের স্ত্রী শিশুটিকে উলঙ্গ ও অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পায়। পরে শিশুটির বাড়িতে খবর দিলে বাড়ির লোকজন এসে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনার পর থেকেই ধর্ষক হাছন আলী পলাতক অবস্থায় রয়েছেন। পরে ধর্ষিতার বাবা মো. ওয়াহেদ আলী ঘটনাটি গ্রামের মাতাবরগণ এবং ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে তারা সালিসি বৈঠক করে ঘটনাটি মীমাংসা করে দিবে বলে জানায়। তিনদিন পরেও ঘটনার কোনো বিচার না পেয়ে ধর্ষিতার বাবা মধুপুর থানায় এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আজকের তালাশকে জানান, এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। ধর্ষিতাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য গত সোমবার টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে ডাক্তারের রিপোর্ট অনুযায়ী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। শিশুটির বাবা মো. ওয়াহেদ আলী এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।’

7 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন