২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

নৌকার জোয়ার দেখে বিএনপি ভয় পেয়ে গেছে: সেতুমন্ত্রী

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০২:৪২ অপরাহ্ণ, ০৯ জানুয়ারি ২০১৮

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, ‘নতুন বছর শুরু হয়েছে, এই বছরেই নির্বাচন হবে। নির্বাচনের এখনও ৯ থেকে ১০ মাস বাকি। এরইমধ্যে সুনামগঞ্জ থেকে সুন্দরবন, কুতুবদিয়া থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত সারা বাংলায় নৌকার জোয়ার উঠেছে। নৌকার এই জোয়ার এত আগে দেখে বিএনপি ভয় পেয়ে গেছে। তারা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার আশঙ্কায় এখন আবোল তাবোল বলছে।’

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিলুপ্ত গাড়াতি ছিটমহলের রাজমহল মফিজার রহমান কলেজ মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া শীতবস্ত্র ও নগদ অর্থ বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পঞ্চগড়-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন এমপির সভাপতিত্বে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক এমপি, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্পের জনপ্রেক্ষিত বিশেষজ্ঞ নাঈমুজ্জামান মুক্তা, পঞ্চগড় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমানুল্লাহ বাচ্চু, পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাটসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রংপুরে আমরা হেরে গিয়েছি, কিন্তু আমরা নির্বাচনের রায় মেনে নিয়েছি। সরকারি দল কোনও প্রকার হস্তক্ষেপ করেনি। নির্বাচন কমিশন সুন্দর, অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করেছে। নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ স্বাধীন কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। শেখ হাসিনার সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে। রংপুরের মতো আগামী নির্বাচনও স্বাধীন কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য, নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে যা যা সহযোগিতা করা দরকার সব ধরণের সহযোগিতা শেখ হাসিনার সরকার করবে। এখানে ফখরুল সাহেবদের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই।’

তিনি বলেন, ‘এই শীতের মধ্যে বিএনপি কোথায়? এই গরিবের মাঝে এখন আওয়ামী লীগ এসেছে, এরপর লোক দেখানোর জন্য তারা আসবে ও ফটোসেশন করবে। তারা কক্সবাজারেও ফটোসেশন করেছে। এই উত্তরবঙ্গের পঞ্চগড়, দিনাজপুর, রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম যখন বন্যাকবলিত তখন বিএনপি মহাসচিব এসে ফটোসেশন করে গেছে।

আমরা এসেছি সাহায্য করতে, আমরা এসেছি কম্বল নিয়ে, নগদ টাকা নিয়ে। আমরা কাজ দেখিয়ে ভোট নিতে চাই। কথা দিয়ে ভোট আদায় করবো না আমরা। কথা মানুষের পেট ভরবে না। বিএনপি কথামালার রাজনীতি করে, আর আওয়ামী লীগ কাজের রাজনীতি করে বলেই নির্বাচিত হয়।’

বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘১০ থেকে ১২টা কম্বল নিয়ে পত্রিকার সাংবাদিকরা ছবি তুলে নিয়ে গেলো, এটা কি রাজনীতি? মানুষের কষ্ট নিয়ে এ রাজনীতি শেখ হাসিনা করেন না। সাড়ে ৫ হাজার বলেছি, সাড়ে ৫ হাজার কম্বলই দিয়ে যাবো। নগদ ১১ লাখ টাকার কথা বলেছি, তাই দিয়ে যাবো। আপনাদের কষ্ট যতদিন থাকবে ততদিন শেখ হাসিনার সাহায্য আপনারা পাবেন।’

শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আগামী বাজেটে শিক্ষকরা তাদের দাবির প্রতিফলন পাবেন। অধৈর্য হবেন না এবং কারও প্ররোচনায় কষ্ট করে এই শীতের মধ্যে শহীদ মিনারে গিয়ে অনশন করার প্রয়োজন হবে না। এমপিওভুক্তি পর্যায়ক্রমে হয়ে যাবে। শেখ হাসিনার চেয়ে আপনাদের কষ্ট আর কেউ অতটা বোঝেন না।’

বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীর উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা স্বাধীন দেশের নাগরিক। এই শীত ৫০ বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। শীতের শুরুতেই এই জেলায় ২৮ হাজার কম্বল পৌঁছেছে। আরও সাড়ে ৫ হাজার কম্বল এবং ১১ লাখ টাকা পঞ্চগড়ের মানুষের জন্য নিয়ে এসেছি।’

বক্তব্য শেষে তিনি সদর ও বোদা উপজেলায় মোট সাড়ে ৫ হাজার কম্বল ও প্রত্যেককে ২০০ টাকা করে মোট ১১ লাখ টাকা বিতরণ করেন। এর আগে তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম নুরুল ইসলাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের শুভ উদ্বোধন করেন। সেখান থেকে তিনি সড়কপথে বোদা উপজেলার দিকে রওনা দেন। বোদা পাইলট মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে তিনি অপর একটি অনুষ্ঠানে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন। পরে সেখানে স্থানীয় আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

0 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন