২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

পটুয়াখালীতে ইজতেমা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন, মাঠ ছাড়েনি মুসুল্লিরা

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:১৭ অপরাহ্ণ, ১৭ অক্টোবর ২০১৮

অনুমতি না পাওয়ায় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় তিন দিনব্যাপী জেলা ইজতেমার আয়োজন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। বুধবার দুপুরে ইজতেমা ময়দানে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সোহাগ হাওলাদার ও রাঙ্গাবালী থানার ওসি মিলন কৃষ্ণ মিত্র এ নির্দেশ দেন।

কিন্তু বিভিন্ন এলাকা থেকে ইজতেমায় অংশ নিতে আসা হাজারও মুসল্লি ও সাথীরা হতাশ হলেও ময়দান ত্যাগ করেননি।

সূত্র জানায়- বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের চরইমারশন এলাকার আগুনমুখা নদীর তীরে ‘পটুয়াখালী জেলা ইজতেমা’ হওয়ার কথা ছিল।

এ উপলক্ষে ময়দান প্রস্তুতের কাজও প্রায় শেষপর্যায় ছিল। কিন্তু শেষেমেশ প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি পাওয়া যায়নি। এ কারণে বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ইজতেমা ময়দানে পুলিশ মোতায়েন করা ছিল।

পরে দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রাঙ্গাবালী থানার ওসি মৌখিকভাবে ইজতেমার আয়োজন বন্ধ করার নির্দেশ দেন।

বুধবার বিকালে সরেজমিনে দেখা গেছে- ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মুসল্লিরা স্বেচ্ছাশ্রমে ময়দান প্রস্তুতে কাজ করে চলছিলেন। প্রায় ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্নও হয়েছিল। রান্নাঘর, বিশুদ্ধ পানির জন্য গভীর নলকূপ, টয়লেট ও গোসলখানাও তৈরি করা হয়েছে। শুধু প্যান্ডেল- শামিয়ানা লাগানোর কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি।

বুধবার বিকাল পর্যন্ত হাজারও মুসল্লি এসে ময়দানে জড়ো হয়েছেন। আরও মুসল্লিরা বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রলার ও লঞ্চযোগে ময়দানে আসছেন। ইজতেমায় অংশ নিতে আসা মুসল্লিরা জানান, ইজতেমা শুরু হওয়ার একদিন আগে বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এতে ইজতেমায় অংশ নিতে আসা বিভিন্ন এলাকার শত শত মুসল্লি-সাথীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। তবে মুসল্লি ও সাথীদের ময়দান ত্যাগ করতে বলা হলেও তারা ময়দান ত্যাগ করেননি।

ইজতেমা আয়োজনের দায়িত্বে নিয়োজিত আমির মো. ফয়সাল হোসাইন বলেন, ‘ইজতেমা বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন জায়গায় আমরা কথা বলে যাচ্ছি। আমরা ময়দানে আছি, ইনশাআল্লাহ।’

রাঙ্গাবালী থানার ওসি মিলন কৃষ্ণ মিত্র বলেন- ‘ইজতেমার আয়োজকরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের অনুমতি পাননি। এছাড়া গোয়েন্দা সংস্থার বিভিন্ন রিপোর্ট ও নিরাপত্তাজনিত কারণে ইজতেমার আয়োজন বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোহাগ হাওলাদার বলেন- ‘প্রত্যেক অনুষ্ঠান করার আগে এসবি-ডিএসবির অনুমতি নিতে হয়। নিরাপত্তাঝুঁকির কারণে পুলিশ সুপার জেলা বিশেষ শাখা অনুমতি দেয়নি। এ কারণে জেলা প্রশাসক মহোদয়ও অনুমতি দেননি। তাই আয়োজন বন্ধ রয়েছে। অনুমতি পেলেই তাদেরকে ইজতেমা করতে দেয়া হবে।’

আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত তিনব্যাপী এ উপজেলায় ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছিল। এ ইজতেমায় জেলার সদর উপজেলা, গলাচিপা, কলাপাড়া, মির্জাগঞ্জ, দশমিনা, দুমকি বাউফল ও রাঙ্গাবালী উপজেলাসহ দেশি-বিদেশি প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মুসল্লি ও সাথীরা অংশগ্রহণ করার কথা।

1 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন