২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার

পিরোজপুরে ছাত্রদল নেতার হাত-পা ভেঙে দিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:০৮ অপরাহ্ণ, ০৮ মে ২০১৮

চাঁদা না পেয়ে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাজেদুল কবির রাসেলকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান সবুজ। গত সোমবার (০৭ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার শ্রীরামকাঠী মধ্যরাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ছাত্রদল নেতা মাজেদুল কবীর রাসেল উপজেলার শ্রীরামকাঠী গ্রামের এসএম শাহজাহান কবিরের ছেলে।

ঘটনার পরপরই তাকে চিকিৎসার জন্য নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

চিকিৎসাধীন ছাত্রদল নেতা মাজেদুল কবীর রাসেল বলেন, গত রোববার বিকেলে শ্রীরামকাঠী বন্দরে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রিয়াদ ইলেকট্রনিকে বসা ছিলাম। ওই সময় বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান সবুজের কয়েকজন লোক আমার প্রতিষ্ঠানে আসে। তারা এসে বলে, সবুজ ভাই চাঁদার জন্য আমাদের পাঠিয়েছে। তখন আমি তাদের চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তারা চলে যায়।

সোমবার রাতে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলাম। রাত সাড়ে ৯টার দিকে শ্রীরামকাঠীর মধ্যরাস্তা এলাকায় পৌঁছালে সবুজের নেতৃত্বে শ্রীরামকাঠী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জনি হাওলাদার, ছাত্রলীগ নেতা বিপ্লব ও রামসহ ৮ থেকে ১০ জন চারদিক থেকে আমাকে ঘিরে ধরে। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। তাদের পিটুনিতে আমার হাত-পা ভেঙে যায়।

ঘটনা প্রত্যক্ষদর্শী জাকির মোল্লা বলেন, ওই সময় আমি ঘটনাস্থলের পাশেই কবিরের চায়ের দোকানে ছিলাম। হঠাৎ চিৎকার শুনে আমিসহ কয়েকজন এগিয়ে যাই। এ সময় সবুজ, বিপ্লব, জনি ও রামসহ কয়েকজনকে দৌড়ে পালাতে দেখেছি এবং রাস্তার ওপর রাসেলকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে চিকিৎসার জন্য নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আরিফুর রহমান সবুজ বরিশালটাইমসকে বলেন, রাসেলের সঙ্গে আমার কোনো শত্রুতা নেই। কেন আমি তাকে মারতে যাবো। এ ঘটনার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। কেন তিনি আমার নাম বলছেন তা আমার বোধগম্য নয়।

নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শোভন রায় চৌধুরী বরিশালটাইমসকে জানান, রাসেলের ডান হাতে ও বাম পায়ে হাড় ভাঙা জখমসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নাজিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বরিশালটাইমসকে বলেন, এ বিষয়ে এখনও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’’

7 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন