১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

পিরোজপুরে ভিক্ষুকের মেয়েকে ধর্ষণ করলো দুই মেম্বরসহ ৫ জন

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৫:৫৫ অপরাহ্ণ, ৩১ মে ২০১৮

এ ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন নির্যাতিত ওই কিশোরীর মা। বর্তমানে নির্যাতিত কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

গতকাল বুধবার রাতে সদর থানায় নির্যাতিত কিশোরীর মা বাদী হয়ে দুই ইউপি সদস্য মাসুদ ও নান্টুসহ তাদের তিন সহযোগীকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরীকে মায়ের কাছে রেখে তার বাবা পালিয়ে অন্যত্র বিয়ে করেন। সেই থেকে অসহায় মা ভিক্ষা করে সংসার চালাচ্ছেন। অভাবের সংসার হওয়ায় চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে আর পড়াশুনা করতে পারেনি কিশোরী। তাই কিশোরীকে বাড়ি রেখেই ভিক্ষা করতে যেতেন মা। ভিক্ষুকের বাড়ি নির্জন এলাকায় হওয়ায় ১৫ বছরের ওই কিশোরীর ওপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে দুই ইউপি সদস্যের।

প্রতিদিন ওই বাড়িতে আসা-যাওয়া শুরু করে তারা। এর মধ্যে একদিন ওই কিশোরীর মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে দুই ইউপি সদস্য মাসুদ ও নান্টু তিন সহযোগী নিয়ে ওই বাড়িতে যায়। একপর্যায়ে তাদের সহযোগী সাব্বির, মারুফুল ও সাইফুল কিশোরীর হাত পা ও মুখ বেঁধে ফেলে। পরে পালাক্রমে কিশোরীকে ধর্ষণ করে তারা পাঁচজন।

টেনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বরিশালটাইমসকে বলেন, আমি চাই যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদের শাস্তি হোক। ইউপি সদস্য হোক আর যেই হোক তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

বিষয়টি অস্বীকার করে টোনা ইউনিয়ন পরিষদের অভিযুক্ত দুই ইউপি সদস্য মাসুদ ও নান্টু বলেন, আমরা ঘটনায় জড়িত নয়। মেয়েটিকে দিয়ে আমাদের নামে হয়তো কেউ বদনাম করাচ্ছে।

এ বিষয়ে সদর থানা পুলিশের ওসি এসএম জিয়াউল হক বরিশালটাইমসকে বলেন, দুই ইউপি সদস্য ও তিন সহযোগীকে আসামি করে এ ঘটনায় মামলা করেছেন কিশোরীর মা। মেয়েটি দুই মেম্বারসহ পাঁচজনের কথা বলে জবানবন্দি দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

6 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন