২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

পিরোজপুরে সুপারি চুরির অভিযোগে যুবলীগ নেতাকে মারধর!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৬:১৯ অপরাহ্ণ, ১৩ অক্টোবর ২০১৮

পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় সুপারি চুরির অভিযোগে ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি মো. আসাদুল ইসলামের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। গত শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ইন্দুরকানীর চন্ডিপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

মো. আসাদুল ইসলাম বালিপাড়া ইউনিয়নর চন্ডিপুর ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি। মারধরের পর আহত যুবলীগ নেতাকে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চন্ডিপুর গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা ফারুক হাওলাদারের সুপারি বাগান থেকে গত বুধবার রাতে সুপারি চুরি হয়। গত বৃহস্পতিবার সকালে চন্ডিপুর বাজারে চুরি হওয়া সাড়ে ১৩ কুড়ি কাঁচা সুপারি বিক্রি করতে দেখা যায় মিরাজ নামের এক যুবককে। পরে ফারুক ও তার ভাতিজা বালিপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য সচিব জিয়াউল হাচান রনি বেপারারির কাছ থেকে সুপারিগুলো জব্দ করেন।

ফারুক হাওয়ালাদার পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পান, চুরির পর বিক্রি হওয়া ওই সুপারির সঙ্গে ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা আসাদুল ইসলাম জড়িত। এ ঘটনা পরে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বরকে জানানো হলে বিকেলে তিনি সালিশ মীমাংসার কথা বলেন।

সুপারি চুরি নিয়ে আসাদুল ইসলামকে দোষ দেওয়া হয়, এতে বৃহস্পতিবার বিকেলে চন্ডিপুর বাজারে ছাত্রলীগ কার্যালয়ের সামনে বসে যুবলীগ নেতা রনিকে চর-থাপ্পড় দেন আসাদুল ও মিরাজ। এ ঘটনার জের ধরে আসাদুলের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার দুপুরে আসাদুলকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেন আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হাওলাদার, তার ভাই বাদশা হাওলাদার ও ভাতিজা রনি। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ বিষয়ে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোস্তফা কামাল হাওলাদার বরিশালটাইমসকে জানান, সুপারি চুরির অভিযোগের বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে সালিশ মীমাংসার আশ্বাস দিলেও তারা শোনেননি। পরে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে আসাদুলের সঙ্গে ফারুক হাওলাদারের মারামারি হয়। ’

5 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন