২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:৩০ অপরাহ্ণ, ১০ জুলাই ২০১৮

আমি আলী হোসেন হাওলাদার (সাবেক চেয়ারম্যান) কাশিপুর ইউনিয়ন, বরিশাল। আমার বাংলাদেশের সকল জনগণকে সালাম পূর্বক নিবেদন এই যে, আমি বরিশালের এক সময়ের জমিদার হাজী আদম আলীর মৃত্যুতে তার ওয়ারিশগণের কাছ থেকে কাশিপুর-চহুতপুর মৌজায় জে.এল ৩১নম্বর এস.এ খতিয়ান ৫৫০,৫৫২ এস.এ দাগ ১২৪৭, ১২৪৮, ১২৪৯ দাগের একোয়ার বাদ ১-১১ শতাংশ জমি ক্রয় করি।

আমি জমি ক্রয় করার পরে এক শ্রেণির ভূমিদস্যু নথুল্লবাদ বাসস্ট্যান্ডের চা- দোকানদার লিয়াকত মোল্লা ও শওকত মোল্লা তাদের সাথে মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী (নাসির টিচার) আরও কিছু চিহ্নিত ভূমিদস্যু ক্ষমতাশীল চিটার এক সাথে মিলিত হয়ে আমার ক্রয়কৃত জমির ওপর এই ভূমিদস্যুরা যোগাযোগী মতে আদালতকে ম্যানেজ করিয়া একটি এক তরফা ভূয়া ডিগ্রী হাসিল করে। ওই ডিগ্রির বিরুদ্ধে আমি আল হোসেন হাওলাদার আদম আলী হাজীর পুত্র বধূ নাজমা সুলতানা ও বেগম রাবেয়া আলীর পক্ষে মামলা পরিচালনা করিয়া বরিশাল জজ কোর্ট। মহামান্য হাইকোর্টে দো-তরফা তিন তিন বার শুনানীতে আমার সমস্ত কাগজপত্র পর্যালোচনা করে মহামান্য হইকোর্ট আমার পক্ষে রায় প্রদান করেন এবং ওই ভূমিদস্যুরা পরাজিত হয়। যাহার মামলা সিভিল রিভিশন নং- ২৭১২/২০১০।

এই ইলেকট্রনিক মিডিয়ার নাসির ইদ্দিন সাথী (নাসির চিটার) নামে পরিচিত এবং ভূমিদস্যু চায়ের দোকানদার লিয়কত মোল্লা ও শওকত মোল্লা হইকোর্টে পরাজিত হয়ে পুনঃরায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে মামলাটি আবার শুনানীতে আনে। সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি জনাব শ্রী সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ আরও তিন জন বিচারক (০১) জনাবা নাজমুন আরা সুলতানা (২) বিচার জনাব সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, (৩) বিচার জনাব হাসান ফয়েজ সিদ্দিক। এই চারজন বিচারকের কোর্টে দো-তরফা শুনানীতে আল্লাহ’র রহমতে আমার পক্ষে রায় বহাল থাকে। এবং ভূমিদস্যু চিটাররা চূড়ান্ত ভাবে পরাজিত হয়। যাহার মামলা নং- লিভ-টু-আপিল ১৪২৫/২০১৩। মামলায় পরাজিত হয়ে এই ইলেকট্রনিক মিডিয়ার নাসির উদ্দিন সাথী (নাসির চিটার) এবং চায়ের দোকানদার লিয়াকত মোল্লা ও শওকত মোল্লা পর পর কয়েকটি মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করিয়া আসিতেছে। এমনকি এই ভূমিদস্যুরা তাহার মাকে দিয়ে মিথ্যা নারী নির্যাতন কেস করে। যাহার কেস নম্বর ৬৫৩/১০।

এখন বাংলাদেশের সকল জনগণ সচেতন মহল আমার এই লিখিত বক্তব্য শুনে ভাবেন এই ভূমিদস্যুরা অন্যের জমি অবৈধভাবে খাওয়ার জন্য গর্ভধারীনি মাকে দিয়ে মিথ্যা মামলা করতে পারে। তারা কি-না করতে পারে। এই ভূমিদস্যুরা গায়ের জোরে আমার জমিতে ছোট ছোট স্টোল করে বিভিন্ন লোকের নিকট হইতে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা পজিশন নিয়া সম্পূর্ণ অন্যায়ভবে জবর দখল করে ভাড়া দেয়। এবং একটি হোটেল রেস্তোরাঁ করে আনুমানিক ৫০ লক্ষ টাকা পজিশন নিয়ে বিক্রয় করে ক্ষমতার বলে।

আমি আমার বাংলাদেশের সকল প্রাণপ্রিয় জনগণের নিকট আবারও নিবেদন করি এই ভূমিদস্যুরা সন্ত্রাসী চিটার বরিশাল জেলার বিভিন্ন নিরীহ লোকদের জমি দখল করে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করছে। তাদের থেকে পরিত্রাণ পেতে সমাজ ও দেশের সকল সচেতন মহল সকল প্রশাসন উর্ধ্বতন মহলের নিকট আমার একান্ত বিনীত নিবেদন। আমি আমার এই সন্ত্রাসী চিটারের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারি তার সুরাহ করার জন্য একান্ত কামনা করি। আমি আশা করি আল্লাহ তায়ালা রব্বুল-আমিন একদিন সমাধান করিয়া দিবেন।’

নিবেদন

মো. আলী হোসেন হাওলাদার
সাবেক চেয়ারম্যান
কাশিপুর ইউনিয়ন, বরিশাল।

3 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন