২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

প্রেমিককে গাছে বেঁধে প্রেমিকাকে গণধর্ষণ!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৬:৪৮ অপরাহ্ণ, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

টাঙ্গাইলের মধুপুরে প্রেমিককে গাছের সঙ্গে বেঁধে প্রেমিকাকে গণধর্ষণের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে সুনামগঞ্জ (গারোবাজার) পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসী মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে ফ্যাস্টুন, ব্যানার হাতে গারোবাজার-কাকরাইদ সড়কের দুইপাশে দাঁড়িয়ে শ্লোগান দেয়।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন সুনামগঞ্জ (গারোবাজার) পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. আব্দুস সাত্তার, প্রধান শিক্ষক মো. সোলায়মান সেলিম, রয়েল কিন্ডারগার্টেনের অধ্যক্ষ মো. সাজ্জাদুর রহমান, মামলার বাদি মো. হাশমত আলী প্রমুখ।

প্রকাশ, ধর্ষণের শিকার মেয়ের বাবা বাদী হয়ে তিন ধর্ষকদের নামে মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামি তিনজনই পলাতক রয়েছে। দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ওই প্রেমিকা মহিষমারা গ্রামের সুনামগঞ্জ (গারোবাজার) পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রী।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, মধুপুর উপজেলার মহিষমারা (মন্ডলপাড়া) গ্রামের হযরত আলীর ছেলে আরিফ হোসেন (২০) তিন বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেমের এক পর্যায়ে তাদের মাঝে শারীরিক সম্পর্কও গড়ে উঠে। এরই সূত্রে গত ১৫ আগস্ট প্রেমিক ঝুটি ডেটিং করতে একই গ্রামে জঙ্গলের ভেতর প্রবেশ করলে স্থানীয় আয়েন উদ্দিনের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩০) ও মৃত আব্দুল রশিদের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩২) দেখে ফেলে প্রেমিককে গাছের সঙ্গে বেঁধে মেয়েটিকে আকাশমনি বাগানে নিয়ে উড়না দিয়ে মুখ বেঁধে জোরপূর্বক গণধর্ষণ করে। তিনজন গণধর্ষণ করার সময় তারা মোবাইল ফোনে ভিডিও করেছে বলে জানান ধর্ষিতা ওই মেয়ে।

গণধর্ষণের পর ওই স্কুলছাত্রীকে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে ধর্ষণকারীরা পালিয়ে যায়। পরে ওই স্কুলছাত্রীর জ্ঞান ফিরে এলে মুখের বাঁধন খুলে ডাকচিৎকার করতে থাকে। তার ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়।

পরে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা মেয়ের কাছে ঘটনা শুনে মামলা করার উদ্যোগ নিলে ধর্ষকদের প্ররোচনায় স্থানীয় কতিপয় মাতাব্বর ওই স্কুলছাত্রীর বাবাকে মামলা না করতে হুমকি দেন। মামলা করার পরও তারা মেয়েটির বাবাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন জানান মামলার বাদী হাশমত আলী।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মুসলিম উদ্দিন জানান, গত ২ সেপ্টেম্বর রোববার মেয়েটির বাবা আমার বাড়িতে এসে ছেলে-মেয়ের বিয়ের ব্যাপারে জানান। পরে উভয়ের অভিভাবককে সঙ্গে স্থানীয় মাতবর মহিষমারা গ্রামের হায়দার আলী, হযরত আলী, হায়েত আলী, আব্দুল আজিজ, আইজ উদ্দিন, লতিফ ভেন্ডার, আজহার আলী, ইদ্রিস আলীর আলোচনা করে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরের দিন শোনতে পাই মেয়েটি দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। কিন্তু ছেলের বাবা হযরত আলী বিয়েতে রাজী না থাকায় মামলা করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মধুপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো. নজরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ধর্ষিতার পিতা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে ।”

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন