২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

ফেঁসে যেতে পারেন ঝালকাঠি পুলিশের দুই এএসআই! (ভিডিও)

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০১:০৭ পূর্বাহ্ণ, ০১ জুলাই ২০১৮

এক নিরাপরাধ ব্যক্তিকে ক্রসফায়ারের ভয়ভীতি দেখিয়ে দুই সহকারি উপ-পরিদর্শকের (এএসআই) লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি অনলাইন নিউজপোর্টাল ‘বরিশালটাইমসে’ প্রকাশের পরে ঝালকাঠি পুলিশের তোলপাড় অবস্থা শুরু হয়েছে। সংবাদটি প্রকাশের পরে শনিবার (৩০ জুন) রাতে ভুক্তোভুগী ইয়াছিনকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জোবায়েদুর রহমান।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পরে পুলিশ সুপার ওই ব্যক্তিকে আজ রোববার (০১ জুলাই) লিখিত অভিযোগ দেওয়ার নির্দেশ দেন।

সাক্ষাতকার দিয়ে বের হয়ে ঝালকাঠি পৌরসভার কর্মচারী ইয়াছিন বরিশালটাইমসকে জানিয়েছেন- পুরো বিষয়টি তার মুখ থেকে এসপি শুনেছেন। ওই সময় আরও দুই কর্মকর্তা ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এসপি আজ সকাল ১০ টার দিকে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা এএসআই মিঠুন দাস ও ‍এএসআই মিন্টু লালের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছেন। পরবর্তীতে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে ভুক্তোভুগীকে আশ্বাস দেন এসপি।

ঝালকাঠি পুলিশের একটি নির্ভরযোগ্য জানিয়েছে- সংবাদ প্রকাশের পরেই অনেকটা নড়েচড়ে বসেন এসপি জোবায়দুর রহমান। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোমিত কুমার গায়েনকে দিয়ে খবর পাঠিয়ে ডাকিয়ে আনেন নিরাপরাধ ব্যক্তি পৌরসভার রোলার চালক ইয়াছিনকে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগ অনেকাংশে নিশ্চিত হওয়ায় এসপি আজ লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। তবে এই ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক কোন ধরনের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি এসপি।

যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে বিষিয়ে উঠতে পারে তার ভবিষ্যত। সেক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার খড়গও আসতে পারে। কারণ অনেকটা স্বচ্ছ মনের মানুষ এসপি জোবায়দুর রহমানের অপরাধ বা অপরাধীদের সাথে আপোষ করার উদাহরণ কম রয়েছে। সঙ্গত কারণে এমনটিই অনুমান করছেন সহকর্মী পুলিশ সদস্যরা।

অবশ্য পুলিশ সুপার (এসপি) জোবায়দুর রহমানও এমনটি আভাস দিয়ে বরিশালটাইমসকে জানিয়েছেন- রোববার (০১ জুলাই) অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। তদন্তে প্রমাণিত হলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

উল্লেখ পৌরসভার রোলার চালক ইয়াছিনকে গত ১৪ জুন সন্ধ্যার পরে তাজুল নামে এক সোর্সের মাধ্যমে চামটা ব্রিজের কাছে ডেকে নেন এএসআই মিঠুন দাস ও ‍এএসঅ‍াই মিন্টু লাল। সেখানে সরলমনা এই ব্যক্তির পকেটে বেশ কয়েক পিস ইয়বা ঢুকিয়ে দিয়ে কেটে পড়েন তাজুল। পরবর্তীতে ছক অনুযায়ী দুই এএসআই মিঠুন তাকে আটক করে পার্শ্ববর্তী জিএস জাকির হোসেনের ইটভাটায় নিয়ে যান।

সেখানে আটকে মারধরের পরে দুই লাখ টাকা দাবি করা হয়। পরবর্তীতে এক লাখ টাকার বিনিময়ে ইয়াছিনকে মুক্তি দেওয়া হয়। সেই আপোষরফার মধ্যস্তততায় ছিলেন কাউন্সিলর জিএস জাকির। পরে ইয়াছিন নিজের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি বন্ধক রেখে এক লাখ টাকা ওই দিন রাতেই এএসআই মিঠুন দাসের কাছে পৌছে দেন। কিন্তু এতদিন ভয়ে তিনি মুখ খুলছিলেন না। শুক্রবার রাতে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের মুখে বাধ্য হয়ে পুরো বিষয়টি প্রকাশ করেন। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিওচিত্র সংবলিত সংবাদ শনিবার বিকেলে বরিশালটাইমস নিউজপোর্টালে প্রকাশ পেলে শুরু হয় তোলপাড়।’’

https://youtu.be/_tG8_20CteI

7 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন