২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

বরগুনায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগে উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:১৮ অপরাহ্ণ, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বরগুনা সদর উপজেলার ১ নম্বর বদরখালী ইউনিয়নের ডেমা গুলিশাখালী হাকিমিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিম্নমান কাম-কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগে উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের সভাপতি ছত্তার মাতুব্বর ও প্রধান শিক্ষক মো. আবদুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় আটজন নিয়োগ প্রার্থী নিয়োগদানের প্রক্রিয়া স্থগিত করতে বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তাদের অভিযোগ, অবৈধভাবে উৎকোচ নিয়ে ওই পদে হায়দার নামের এক অযোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিদ্যালয়ে নীতিমালা বর্হিভূতভাবে নিম্নমান কাম-কম্পিউটার পদে প্রার্থীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের উৎকোচ গ্রহণের মাধ্যমে নিয়োগ কার্যক্রম তরান্বিত করছেন। পাশাপাশি প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি উভয়ের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য গোপনে আগে থেকেই এই পদে নিয়োগ প্রদানের চেষ্টা করছেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে আরও জানা গেছে, নীতিমালা অনুযায়ী আবেদনপত্র যাচাই-বাছাইয়ের নিয়ম থাকলেও সেটা না করে নিজের মনোনীত নিম্নমান কাম-কম্পিউটার পদে নিয়োগ দিয়েছেন। এদিকে মনোনীত ওইসব প্রার্থীদের আবেদনপত্র বাতিল করে মোটা অঙ্কের টাকা গ্রহণের ফলে নিয়োগপ্রাপ্ত হায়দারকে বিদ্যালয়ে ডেকে নিয়ে ভুল সংশোধন করেছেন, যা নীতিমালা বর্হিভূত কাজ। তাছাড়া হায়দারের কম্পিউটার সার্টিফিকেট ভুয়া বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির বর্তমান সভাপতির যোগসাজসে তড়িঘড়ি করে সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮) নিয়োগ বোর্ড গঠন করে হায়দার নামের ওই প্রার্থীর নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। এদিকে নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত হওয়ার জন্য নিয়ম অনুযায়ী বৈধ প্রার্থীদের কাছে চিঠি পাঠানোর কথা থাকলেও পোস্টাল অর্ডারের মাধ্যমে আগের প্রার্থীদের টাকা ফিরিয়ে দেয় কমিটির সদস্যরা।

এ বিষয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত হায়দারের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি।

আবেদন করা নিয়োগ প্রার্থী আবু হানিফ, তোফাজ্জেল হোসেনসহ নাম প্রকাশ না করা শর্তে কয়েকজন বলেন, ২০১৭ সালে নিয়োগ পরীক্ষার জন্য আমাদের বরগুনা জিলা স্কুলে ডাকা হয়েছিলো। সে সময় বিদ্যালয়ের সভাপতি অসুস্থতাজনিত কারণে নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর আমরা জানতে পারি অবৈধ উৎকোচ নিয়ে একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাই শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে মেধা বাছাই করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জোর দাবি জানাই।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুর রাজ্জাকের কাছে জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনে জানান, নিয়োগ সম্পূর্ণ নিয়মের মাধ্যমেই দেওয়া হয়েছে।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছত্তার মাতুব্বর বলেন, এই নিয়োগ সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। যারা নিয়োগ পায়নি তারা অযথা উৎকোচের ব্যাপারে অভিযোগ করেছে।

এ ব্যাপারে বরগুনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগীরা কেউ নিয়োগের অস্বচ্ছতা নিয়ে অভিযোগ করলে আমাদের দফতর থেকে একজনকে প্রতিনিধি করে নিয়োগের সত্যতা যাচাই করতে দায়িত্ব দেওয়া হবে। অভিযোগের সত্যতা মিললে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

1 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন