২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

বরিশালে গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৬:৫৬ অপরাহ্ণ, ১১ অক্টোবর ২০১৮

বরিশালের মুলাদী উপজেলায় গ্রামীণফোনের কর্পোরেট সিম বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সিম বিক্রির সময় সর্বোচ্চ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সক্রিয় হওয়ার কথা বলা হলেও পাঁচদিনেও সিম সক্রিয় না হওয়ায় প্রতারণার অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। এ সিমগুলো আদৌ সক্রিয় হবে কিনা এ নিয়েও ক্রেতাদের সন্দেহ।

সিম ক্রেতারা অভিযোগ করে বলেন- গত ৭ অক্টোবর বরিশাল গ্রামীণফোন সেন্টারের পরিচয় দিয়ে তৃপ্তি ও ইভা নামের দুই নারী মুলাদী উপজেলার চরকালেখান আদর্শ কলেজে যান। সেখানে তারা কলেজের অধ্যক্ষ এবং শিক্ষকদের কর্পোরেট সিমের সুবিধার কথা জানিয়ে গ্রামীণফোনের একতা নামের সিম কেনার অনুরোধ জানান। সুবিধা জেনে ওই কলেজের অধ্যক্ষ এবং বেশ কয়েকজন শিক্ষক তাদের কাছ থেকে সিম কেনেন।

গ্রামীণফোনের বিপণন কর্মীরা প্রত্যেক সিমের বিপরীতে ১৫০ টাকা করে নেন এবং সর্বোচ্চ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিমগুলো সক্রিয় হবে বলে আশ্বাস দেন। পাশাপাশি সিমগুলো সক্রিয় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ১৭৫ মিনিট যোগ হওয়ার কথাও জানান তারা।

ওই কলেজের এক শিক্ষক বলেন- বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত আমাদের কারও সিম সক্রিয় হয়নি। ৪৮ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও সিম সক্রিয় না হওয়ায় গ্রামীণফোনের বিপণন কর্মী তৃপ্তির মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করি। প্রথমে তার মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাই। পরবর্তীতে তৃপ্তির সঙ্গে মোবাইলে কথা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার মধ্যে সিমগুলো সক্রিয় করে দেয়ার আশ্বাস দেন তিনি। কিন্তু এখন পর্যন্ত সিমগুলো সক্রিয় হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গ্রামীণফোনের কর্মী পরিচয়ে তৃপ্তি ও ইভা চরকালেখান নেছারিয়া কামিল মাদরাসা গিয়ে ১৫টি, চরকালেখান আইডিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১০টি এবং চরকালেখান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছয়টি সিম বিক্রি করেন। কিন্তু এর মধ্যে একটি সিমও সক্রিয় হয়নি।

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানা গেছে- যেসব কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের কর্পোরেট সিম প্রয়োজন তারা গ্রামীণফোনের কাছে চাহিদা দিয়ে সিম সংগ্রহ করবে। কিন্তু প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সিম বিক্রির বিষয়টি সন্দেহজনক। এছাড়া এসব প্রতিষ্ঠানে কয়টি সিম বিক্রি করা হয়েছে সে বিষয়ের প্রমাণপত্র তাদের কাছে দেয়া হয়নি। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের নামে নিবন্ধনকৃত সিম অন্য কোথাও বিক্রি করে দিলেও তার হিসাব পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে কর্পোরেট সিম বিক্রেতা তৃপ্তি প্রতারণার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন- গ্রামীণফোনের কর্পোরেট সিমের সুযোগ-সুবিধার কথা জানানো হলে শিক্ষকরা সিম কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করায় তাদের কাছে সিম বিক্রি করা হয়েছে। কাগজপত্র বরিশাল গ্রামীণফোন সেন্টারে জমা দেয়া হয়েছে। সেখান থেকে সিমগুলো সক্রিয় করতে দেরি করছে।

এ বিষয়ে গ্রামীণফোনের এসএমই পার্টনার আমিন কর্পোরেশনের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, কর্পোরেট সিম নিয়ে একটু জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় বিটিআরসি সিমগুলো সক্রিয় করছে না। তবে গ্রামীণফোনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিটিআরসির সঙ্গে বৈঠক করছেন। যথাযথভাবে নিবন্ধিত সিমগুলো আগামী রোববারের মধ্যে সক্রিয় করে দেয়া হবে।’

1 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন