২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

বরিশালে ঘাট নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শাসকদলের গ্রুপে উত্তেজনা

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:১২ অপরাহ্ণ, ১১ আগস্ট ২০১৭

বরিশালের হিজলা উপজেলার ধুলখোলা ইউনিয়ন লঞ্চঘাটের চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুটি গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। যে কোন সময় সেখানে রক্তারক্তি পরিবেশ তৈরি হতে পারে এমন ভাবনায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে থাকা হিজলা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. খলিলুর রহমান জানিয়েছেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক গ্র“প উভয়েই এই ঘাটটি নিয়ন্ত্রণে নিতে তৎপর। ফলে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সেখানে অবস্থান করছেন। বর্তমানে পরিবেশ তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- ধুলখোলা লঞ্চঘাটে প্রতিদিন ঢাকা-রুটের একটি লঞ্চ নোঙর করে। ওই লঞ্চ কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন ৩ হাজার করে টাকা দেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের। সেই টাকাগুলো ইউনিয়ন আওমী লীগের সভাপতি মাওলানা জসিম উদ্দিন বণ্টন করে থাকেন।

কিন্তু সাম্প্রতিকালে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন নির্বাচন নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হলে ওই টাকা নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন সাধারণ সম্পাদক কালাম বেপারীর সহযোগী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জামাল ঢালী। এতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মাওলানা জসিম উদ্দিন বাধ সাধলে শুক্রবার (১১ আগস্ট) সকালে ওই দুটি গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষেও হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তখন পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে নেয়। কিন্তু সেই ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।

তবে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জামাল ঢালী অভিযোগ করছেন, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে মাওলানা জসিমের চাঁদাবাজি বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছেন। এতে মাওলানা জসিম ক্ষুব্ধ হয়ে শুক্রবার সকালে ধারালো অস্ত্র নিয়ে আলীগঞ্জ বাজারে কয়েকজন নেতাকর্মীকে ধাওয়া দিয়েছেন। ওই সময় বাজারে ব্যবসায়িরা তাকে আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করেছেন।

অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মাওলানা জসিম উদ্দিনের বলছেন, ঘাটটি ধুলখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কালাম বেপারীর ক্যাডার জামাল ঢালি নিয়ন্ত্রণে নিতে চাইছেন।

ধুলখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কালাম বেপারী এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মাওলানা জসিম উদ্দিন মানসিকভাবে ভারসাম্য হারিয়েছেন। যে কারণে তিনি এখন আবোলতাবোল বকছেন।”

 

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন