১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

বরিশালে নৌকা সাদিকের, রাজশাহীতে লিটন

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:৩৭ অপরাহ্ণ, ২২ জুন ২০১৮

বরিশালও  রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। উত্তরের মহানগর রাজশাহীতে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়বেন গত দুইবারের প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মহানগর বরিশালে লড়বেন সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ।

শুক্রবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের এক সভায় এই মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়। প্রথানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা এই বোর্ডে সভাপতিত্ব করেন।

আর রাজশাহী, সিলেট ও বরিশালে ভোটের তারিখ ৩০ জুলাই ধরে ঘোষণা হয়েছে তফসিল। আর নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিন মহানগরে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৮ জুন। যাচাই-বাছাই হবে ১ ও ২ জুলাই, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ জুলাই।

স্থগিত ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচন, খুলনা ও গাজীপুরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বাছাই করেছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ হওয়ার আগে আগে। তবে এবার প্রক্রিয়াটি আগেভাগেই শেষ করল ক্ষসতাসীন দল।

তিন মহানগরের মধ্যে রাজশাহী ও সিলেটে প্রার্থীর নাম আগেই জানা যাচ্ছিল, তবে বরিশালে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা ছিলেন মনোনয়নযুদ্ধে।

রাজশাহীতে দলের মনোনয়ন ফরম একাই কিনেছিলেন লিটন। আর তিনি যে সেখানে প্রার্থী হচ্ছেন, সেটি ফেব্রুয়ারির শেষে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজশাহী সফরেই ঘোষণা হয়েছিল।

আর সিলেটে কামরান মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে সবুজ সংকেত পাওয়ার কথা আগে থেকেই জানাচ্ছিলেন। তবে সেখানে দলের মধ্যে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল।

সিলেটে নৌকা পেতে আরও ছয় জন কিনেছিলেন দলীয় মনোনয়ন ফরম। এরা হলেন: আসাদ উদ্দিন, জাকির হোসেন, মাহিউদ্দিন সেলিম, ফয়জুল আনায়ার ও আজাদুর রহমান আজাদ।

বরিশালে আওয়ামী লীগের হয়ে ম‌নোনয়ন কেনেন জেলা আওয়ামী লী‌গের সহসভাপ‌তি জা‌হিদ ফারুক শামীম, মহানগর আওয়ামী লী‌গের যুগ্ম সম্পাদক সের‌নিয়াবাত সা‌দিক আব্দুল্লাহ, কৃষকলীগ নেতা খান আলতাফ হো‌সেন ভুলু ও আওয়ামী লীগ নেতা মীর আমিন উদ্দিন মোহন ও যুবলীগ নেতা মাহামুদুল হক খান মামুন।

মনোনয়ন নিশ্চিত করার আগেই তিন মহানগরের মনোনয়ন প্রত্যাশীদেরকেই সাক্ষাতের জন্য ডাকে আওয়ামী লীগ। আর কেন্দ্রীয় নেতারা জানিয়ে দেন, যাকে নৌকা দেয়া হয়েছে, তার পক্ষেই কাজ করতে হবে অন্যদেন। কোন্দলের কারণে কোথাও পরাজয় হলে সেটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না বলেও জানিয়ে দেন তারা।

সভায় ১০টি ইউনিয়ন, তিন উপজেলা ও পাঁচটি পৌরসভায়ও দলের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়।

একই সঙ্গে বৈঠক করে ক্ষমতাসীন দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডও। সিদ্ধান্ত হয় কুড়িগ্রাম-৩ আসনের উপনির্বাচনে নৌকা হয়ে লড়বেন এম এ মতিন। গত ১১ মে এই আসনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মাইদুল ইসলাম মারা যান। আসনটিতে উপনির্বাচনে ভোট হবে ২৫ জুলাই।

5 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন