২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

বরিশালে স্কুলছাত্রীর সাহসিকতায় বাল্যবিয়ে আয়োজন পণ্ড

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৫:০৯ অপরাহ্ণ, ১১ আগস্ট ২০১৭

আয়োজনটা কোন অংশে কম ছিল না। বিয়ের প্যান্ডেল সাজসজ্জার প্রস্তিুতিও নেয়া হয়েছিল। অপেক্ষা ছিল বরযাত্রী আসার। অত:পর কাজী ডেকে আনুষ্ঠানিক বিয়ে পড়ানোর।

শুক্রবার (১১ আগস্ট) বাদ জুমা টকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্রী সাবরিনা পারভিনের বিয়েকে ঘিরে এত আয়োজন।

কিন্তু বাধসাধে কিশোরী পারভীন। বাল্যবিবাহ করতে রাজি না হওয়ায় প্রশাসনও তাকে দিয়েছে সহযোগিতা। যে কারণে শেষাবধি পণ্ড হয়ে যায় সব আয়োজন। কিন্তু পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে কিশোরীর বাল্যবিয়ে ভাঙার সাহসিকাতা দেখে খোদ প্রশাসনও অবাক হয়েছে।

এক্ষেত্রে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ভাষ্য হচ্ছে, সাধারণত দরিদ্র পরিবারের মেয়েরা পরিবারের সাথে প্রতিবাদ করে বিয়ে ভাঙার উদাহরণ কম রয়েছে। কিন্তু পারভীনের সাহসিকতা মেয়েদের জন্য একটি শিক্ষা বলে দাবি তাদের।

স্কুলছাত্রী সাবরিনা পারভিন বরিশাল শহরের সাগরদী ধান গবেষণা রোডের জামাল গাজীর মেয়ে।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, বাল্যবিবাহে রাজি ছিল না পারভীন। যে কারণে বিষয়টি নিয়ে পরিবারের সাথে প্রতিনিয়ত বিদ্রোহ করেছে। কিন্তু শেষাবধি টিকতে না পারায় বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে স্কুল শিক্ষকদের সহযোগিতা চেয়েছিল।

বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হুমায়ুন কবির জানান, বরিশাল টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলাম তার ছাত্রীর বিয়ের খবর পেয়ে জেলা প্রশাসককে অবহিত করেন। অবশ্য জেলা প্রশাসকও তাৎক্ষণিক এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দেন। এরপর পুলিশের একটি দল নিয়ে স্কুলছাত্রীর বাসায় অভিযান চালানো হয়।

বরিশাল জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানের নির্দেশে নগরীর সাগরদী ধান গবেষণা রোডের সাবরিনা পারভিনের বাসায় গিয়ে হাজির হন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)।

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. হুমায়ুন কবির জানান, জামাল গাজী তার দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে সাবরিনার সঙ্গে নগরীর বটতলা এলাকার দেলোয়ার হোসেন নামে এক ছেলের বিয়ে ঠিক করেন। শুক্রবার এ বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।

পরে ছাত্রীর মা ও বাবা তার নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে দেবে না মর্মে স্বাক্ষর করেন এবং তাদেরকে সতর্ক করা হয়।’’

 

3 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন