২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

বরিশাল নৌ বন্দরে অস্বাভাবিক যাত্রী হয়রানি

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০২:১০ অপরাহ্ণ, ১২ জুন ২০১৮

ঈদকে কেন্দ্র করে দেশের প্রধান নদীবন্দর সদরঘাট, বরিশাল, চাঁদপুরসহ সব নদীবন্দর ও খেয়াঘাটে অস্বাভাবিক যাত্রী হয়রানি চলছে। এ অভিযোগ করেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনটির গণপরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্য পর্যবেক্ষণ উপকমিটির সদস্যদের বিভিন্ন নদীবন্দর ও খেয়াঘাটে যাত্রীসেবা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকালে এই তথ্য উঠে এসেছে।

আজ মঙ্গলবার (১২ জুন) এক বিবৃতিতে সংগঠনটির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়। এতে বলা হয়, বন্দর ও ঘাটগুলোয় ইজারাদাররা অতিরিক্ত টোল আদায়ের নামে নৈরাজ্য ও অস্বাভাবিক যাত্রী হয়রানি শুরু করেছেন। চলতি সপ্তাহের প্রথম দিক থেকে এই নৈরাজ্য শুরু হলেও সংশ্লিষ্ট কোনো কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে এগিয়ে আসছে না।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে- সদরঘাটে খেয়া পারাপারে ইজারাদারদের নৌকায় ৫০ পয়সা টোল আদায়ের চুক্তি থাকলেও নৌকা ছাড়া শুধু ঘাটে নামতেই যাত্রীপ্রতি ৫ টাকা হারে টোল আদায় করা হচ্ছে। পাঁচ টাকা টোল দিয়েও যাত্রীসাধারণকে আবার ভাড়াকৃত নৌকায় আবারও ৫ থেকে ১০ টাকা নৌকাভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ইজারাদারের নৌকায় পারাপারে প্রতি ১০০ কেজি মালামাল বহনে ২ টাকা ইজারা আদায়ের চুক্তি থাকলেও সদরঘাটে নিয়োজিত ইজারাদার কোনো নৌকা ভাড়া না করে শুধু ঘাট দিয়ে পারাপারে যাত্রীসাধারণের কাছ থেকে অবৈধভাবে খেয়া পারাপারের ভাড়ার পাশাপাশি কোনো যাত্রী পণ্য নিয়ে নদী পারাপারেও সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা পর্যন্ত নৌকাভাড়া আদায় করছে।

ইজারাদারকে এই টোল দেওয়ার পরও যাত্রীসাধারণ নৌকায় পণ্য ও নৌকার ভাড়া আলাদাভাবে দিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে। এতে দেখা গেছে, প্রতিদিন সদরঘাটে দুই পাড়ে যাতায়াতকারী যাত্রীসাধারণের কাছ থেকে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা অবৈধভাবে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এই ঈদে তার দ্বিগুণ আদায় হচ্ছে। এ চিত্র দেশের প্রায় সব কটি নদীবন্দর ও খেয়াঘাটে লক্ষ করা গেছে।

এ ছাড়াও ঘাটে প্রবেশে যাত্রীপ্রতি টিকিটবিহীন টাকা আদায় করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করছে বিআইডব্লিউটিএর নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। প্রতিদিন লক্ষাধিক যাত্রী সদরঘাট দিয়ে যাতায়াত করলেও ঈদের মৌসুমে যাত্রী যাতায়াত তিন গুণ বেড়ে যায়। ঘাটে গত এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, বিআইডব্লিউটিএর নিয়োজিত কর্মচারীরা সিংহভাগ যাত্রীর টিকিটবিহীন টার্মিনাল প্রবেশ ফি আদায় করছেন। এতে টার্মিনাল প্রবেশ ফি আত্মসাতের পাশাপাশি নৌদুর্যোগ তহবিলেরও লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে।

এদিকে ঘাটে নিয়োজিত কুলিদের দৌরাত্ম্য ও গুটিকয়েক অসাধু লঞ্চ-মালিকের দৌরাত্ম্য বন্ধে অসহায় যাত্রীদের পাশে দাঁড়াতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।’

7 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন