১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

বরিশাল সিটিতে আজ থেকে প্রচার প্রচারণা শুরু

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০১:৫১ পূর্বাহ্ণ, ১০ জুলাই ২০১৮

আসন্ন রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ হবে মঙ্গলবার (১০ জুলাই)। ফলে এদিন থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারে যেতে পারছেন প্রার্থীরা। যা শেষ হবে আগামী ২৮ জুলাই।

তফসিল অনুযায়ী- বৈধ প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ শেষ হয়েছে সোমবার (৯ জুলাই)। আর প্রতীক বরাদ্দ হবে ১০ জুলাই।

ইসির যুগ্ম সচিব (চলতি দায়িত্ব) ফরহাদ আহাম্মদ স্বাক্ষরিত মাঠ পর্যায়ে পাঠানো এক নির্দেশনায় ইতিমধ্যে বলা হয়েছে- প্রতীক পাওয়ার পর প্রচার করা যাবে।

নির্বাচন আইন অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা পূর্বে প্রচার কাজ বন্ধ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ভোটগ্রহণ শুরু হবে আগামী ৩০ জুলাই সকাল ৮টায়। অর্থাৎ ১০ জুলাই থেকে থেকে ২৮ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত প্রচার কাজ চালাতে পারবেন প্রার্থী ও তার সমর্থকরা।

ইসির ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে- সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিধিমালার বিধি ৫ অনুসারে-প্রতীক বরাদ্দের পূর্বে কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল, অন্য কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা কোনো নির্বাচনী প্রচারণ শুরু করতে পারবে না। এই বিধি সকল প্রার্থী ও তার সমর্থকদের মেনে চলতে হবে।

নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী বিধিমালার কোনো বিধান অমান্য করলে, তিনি নির্বাচিত হবার পরও তার প্রার্থিতা বাতিল করতে পারে নির্বাচন কমিশন।

নির্দিষ্ট সময়ের আগে প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও যে কোনো প্রকার মিছিল বা শোডাউন করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনাও দিয়েছে সংস্থাটি।

এদিকে প্রচার কাজের জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে কেবল একটি মাত্র শব্দবর্ধনকারী যন্ত্র বা মাইক ব্যবহার করার জন্য প্রার্থীদের উদ্দেশে বলা হয়েছে। এজন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে বেলা ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। আর পথসভা বা ঘরোয়া সভার জন্য অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে। কোনো প্রার্থী অন্য প্রার্থীর বিরুদ্ধে সম্মানহানিকর তথা চরিত্রহনন করে বা কোনো ধরনের তিক্ত বা উস্কানিমূলক কিংবা লিঙ্গ, সাম্প্রদায়িকতা বা ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে এমন বক্তব্য দিতে পারবেন না।

নির্বাচনী প্রচারকাজে কেবল মাত্র দলীয় প্রধান হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে পারবেন। তবে দলীয় প্রধান যদি সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ তথা, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী বা সংসদ সদস্য হন, তবে তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় যেতে পারবেন না।

রিটার্নিং কর্মকর্তাদের এই সব নির্দেশনা প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করে অথবা যথাযথভাবে প্রচার করে অবহিতও করতে বলেছে নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে ফরহাদ আহাম্মদ খান জানিয়েছেন- ইতিমধ্যে নির্দেশনা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আইন অনুযায়ী, নির্দেশনাগুলো দেওয়া হয়েছে। যার অনুলিপি মন্ত্রি পরিষদ বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, পুলিশ সদর দফতরসহ সংশ্লিষ্টদের কাছেও পাঠানো হয়েছে।’

5 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন