২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

‘বাদশাহর নির্দেশে খাশোগিকে খুন করেছেন সালমান’

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:১১ অপরাহ্ণ, ১৯ অক্টোবর ২০১৮

সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের নির্দেশে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যা করেছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান, এমনটাই দাবি করেছেন জার্মানিতে স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকা আরেক সৌদি যুবরাজ খালেদ বিন ফারহান আল-সৌদ।

শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জার্মান গণমাধ্যম ডয়েচে ভেলে’কে দেয়া তার সাক্ষাৎকারের বরাত দিয়ে এসব কথা জানিয়েছে ‘মিডল ইস্ট মনিটর’।

খালেদ বলেন, সরাসরি বাদশাহর নির্দেশেই বিরোধীদের শাস্তি দেয়া হয়। যদি খাশোগি খুন হয়ে থাকেন, তবে খুনিদেরকে সরসারি অনুমতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপ্রধান। এখন সৌদিতে সবকিছুই হয় বাদশাহ সালমানের নির্দেশে। আর এই নির্দেশ অবশ্যই কার্যকর করেছেন যুবরাজ সালমান।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও’র রিয়াদ সফর এবং সৌদি বাদশাহ সঙ্গে তার বৈঠককে সন্দেহজনক দৃষ্টিতে দেখছেন স্বেচ্ছা নির্বাসনে যাওয়া এই যুবরাজ।

তার মতে, এই ঘটনা থেকে সৌদি বাদশাহ ও যুবরাজকে দূরে রাখার প্রচেষ্টা এটি। আর্থিক ও সামরিকসহ বেশকিছু কারণেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন খাশোগি নিখোঁজ ইস্যুকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।

মোহাম্মদ বিন সালমানকে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসনের জন্য একটি সুযোগ বলে মনে করেন তিনি। কারণ এই যুবরাজকে সহজেই নিয়ন্ত্রণ ও প্রভাবিত করা যাবে।

খাশোগির ঘটনা সম্পর্কে সৌদি প্রশাসনের পক্ষ থেকে কী বলা হবে, সেই বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন ভিন্নমতাবলম্বী এই যুবরাজ।

তিনি বলেন, সৌদি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো একজনকে বলির পাঁঠা করে বলা হবে যে তিনি খাশোগিকে খুন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আর অবশ্যই এই ঘটনার জন্য তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থিত সৌদি দূতাবাসকে দায়ী করা হবে।

এছাড়া ইতোমধ্যে ইস্তাম্বুলে পৌঁছানো ১৫ সৌদি নাগরিককে এই খুনের জন্য দায়ী করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এভাবে সৌদি বাদশাহ ও যুবরাজকে অভিযোগ থেকে মুক্ত করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর সৌদি দূতাবাসে প্রবেশ করেন জামাল খাশোগি। এরপর তুর্কি কর্মকর্তারা এবং খাশোগির পরিবার জানায়, সেখান থেকে আর বের হননি তিনি। এই ঘটনায় তুরস্কের অভিযোগ, খাশোগিকে হত্যা করে সৌদি এজেন্টরা। আর এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে সৌদি সরকার।

0 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন