১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

মঙ্গল গ্রহে মিলেছে সিংহের মূর্তি

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:০৭ অপরাহ্ণ, ০২ মে ২০১৮

পৃথিবীর প্রতিবেশী গ্রহ মঙ্গলে পাঠানো মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা’র অনুসন্ধানী যান কিউরিসিটি রোভারের একটি ছবি নিয়ে সম্প্রতি ইন্টারনেট দুনিয়ায় ব্যাপক আলোচনা চলছে। খোদ মহাকাশ বিজ্ঞানীরাই বলছেন, গ্রহটির সম্পর্কে পূ্র্বের অনেক ধারণাই মিথ্যে বলে প্রমাণিত হচ্ছে। আগে সবার বিশ্বাস ছিল লাল গ্রহটিতে বোধহয় প্রাণ থাকার মতো কোনো উপাদানই নেই। কিন্তু পরবর্তীতে সেখানে জীবন ধারণের মূল উপাদান পানির দেখাই মিলেছে।

কিউরিসিটি রোভারের পাঠানো বেশ কিছু ছবিতে মঙ্গলের রুক্ষ ভূমিতে পাথরের এমন সব ধ্বংসাবশেষ দেখা গেছে যা নিয়ে আলোচনা থামেনি। এর মধ্যে যুক্তরাজ্যের ব্রিস্টলের এক চিত্র সাংবাদিক ও গবেষক একটি ছবি সম্প্রতি প্রকাশ করেছেন।

নিজেকে মহাকাশ চিত্র সাংবাদিক হিসেবে দাবি করা ৪৫ বছর বয়সী এই ব্যক্তি ছবিটি ইউটিউবে প্রকাশ করে বলেছেন, মঙ্গলভূমিতে যে ধ্বংসাবশেষ দেখা যাচ্ছে তা প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি নয়। পাথরের টুকরোগুলোর মধ্যে একটিকে ইঙ্গিত করে জো’র দাবি, বিড়াল সদৃশ পাথরের টুকরোটি সিংহের মূর্তি ছাড়া আর কিছুই নয়!

অর্থাৎ তার মতে, লাল গ্রহটির উপরিভাগে শুধু যে প্রাণই ছিল তা নয়, সেখানে ছিল মানুষের মতো উন্নত প্রাণীর চলাফেরা। কালের আবর্তে তারা হারিয়ে গেলেও নিদর্শন ঠিকই রয়ে গেছে।

জো আরও বলছেন, ছবিটি নাসার পাঠানো অনুসন্ধানী যান কিউরিসিটি ২০০৩ সালে পাঠালেও অনেক ছবির মতো এটিকেও গোপন রাখা হয়েছিল। কিন্তু ফাঁস হয়ে যাওয়া বেশ কিছু ছবির অন্যতম এটি। যেখানে মঙ্গলভূমিতে সিংহির মূর্তির মাথা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে।

ছবিটি দেখে অনেকে একে নীল নদের তীরে গড়ে ওঠা হারানো মিশরীয় সভ্যতায় তৈরি মূর্তির সঙ্গে মিল খুঁজে পেয়েছেন। তাদের মতে, মঙ্গলের সেই উন্নত জাতির সঙ্গে মিশরের দেবতাদের মিল রয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। কেননা, মিশরীয় সভ্যতাতেও বিড়াল প্রজাতির প্রাণীর কদর ছিল।

ছবির সুত্র প্রসঙ্গে জো জানান, গত কয়েক বছরে মঙ্গল গ্রহ থেকে কিউরিওসিটি’র পাঠানো প্রায় ১৫ হাজার ছবি আপলোড করেছে নাসা। তিনি সেগুলোও খুঁটিয়ে দেখেছেন।

তার দাবি, সেসব ছবিও গবেষকেরা চাইলে পরীক্ষা করে লাল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব ঠিকই খুঁজে পাবেন। কেউ কেউ অবশ্য সেটিকে স্রেফ পাথরের টুকরো বলেই দাবি করেছেন।

বলেছেন, গ্রহটি হাতের নাগালে দূরে থাক, চোখের নাগালেও নেই। তাহলে না দেখা ছবি থেকে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সঠিক নয়। কারও কারও দাবি, সেটি শুধুই একটি পাথর খণ্ড।

কেউ আবার এটিকে ‘প্যারেডোলিয়া’র মতো দৃষ্টি বিভ্রম বলে মনে করেছেন। মঙ্গল গ্রহেই ১৯৭৬ সালে নাসার পাঠানো যান ভাইকিং -১ থেকে তোলা একটি ছবি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। গ্রহটির সাইডোনিয়া এলাকার একটি পর্বত শৃঙ্গকে দেখে অনেকেই মনে করেছিলেন সেটি কোনো মানুষের মুখের ছবি।

অবশ্য সেটি শুধু একটি কোন থেকে দেখলেই মনে হয়। অন্য কোণ থেকে দেখলে এমনটি আর দেখায় না। ফলে গবেষকেরা সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে সেটি দৃষ্টিবিভ্রমের ঘটনা।

7 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন