বরিশালের বাবুগঞ্জ বিশ^বিদ্যালয় কলেজে উপাধ্যক্ষ নিয়োগের নামে টালবাহানা করাসহ সর্বোচ্চ মেধার পরিচয় দিয়েও নিয়োগ পাচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। বাবুগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজটিতে শূন্য পদে উপাধ্যক্ষ নিয়োগে লিখিত পরীক্ষায় অকৃতকার্য এক প্রার্থীকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেয়ার পায়তারা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিষ্ঠানটির সাবেক উপাধ্যক্ষ মো. মকবুল হোসেনের চাকুরির সময়সীমা উত্তীর্ণ হলে পদটি শূন্য হয়ে যায়। নিয়মানুযায়ী শূণ্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গত ৮জুন ২০১৮ তারিখ বরিশাল বিএম কলেজে স্থানীয় সংসদ সদস্য গর্ভানিং বডির সভাপতি ও নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

মোট ৫জন নিয়োগ বোর্ডের প্রতিনিধির মধ্যে ছিলেন- গর্ভনিং বডির প্রতিনিধি বাবুগঞ্জ সরকারী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক নূর মোহাম্মদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান মিয়া, মাউশি প্রতিনিধি বিএম কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক শফিকুর রহমান সিকদার, বাবুগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ ও নিয়োগ বোর্ডের সদস্য সচিব আ ক ম মিজানুর রহমান। তাদের উপস্থিতিতে ওই লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

ওই পরীক্ষায় মোট ১৪ জন আবেদনকারীর মধ্যে ৯ জন আবেদনকারী অংশগ্রহণ করেন। কলেজের গর্ভাণিং বডির অন্যতম সদস্য মোস্তফা কামাল চিশতী ও মাসুদ আহম্মেদসহ একাধিক সদস্য জানান, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় ঢাকা নটরডেম কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ কল্যানে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন কার করা শ্যামল চন্দ্র মন্ডল সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন। যা নিয়োগ বোর্ডের সকলের সমন্বয়ে মেধা যাচাই পরবর্তী ফলাফল প্রদান করা হয়। যেখানে নিয়োগ বোর্ডের সকল সদস্যের স্বাক্ষর রয়েছে। কিন্তু তার পরেও সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত আবেদনকারীকে নিয়োগ দিতে টালবাহানা করছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য।

একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির গর্ভানিং বডির সভাপতি স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ মো. টিপু সুলতান তার দলীয় প্রার্থী ওই কলেজের সহকারী অধ্যাপক গোলাম হোসেনকে ওই শূন্য পদে নিয়োগের জন্য গর্ভনিং বডির সভা নিয়ে টালবাহানা শুরু করেন। ওই সূত্রটি আরও নিশ্চিত করেছেন এ নিয়ে গর্ভনিং বডির তিনটি সভা অমীমাংসিত ভাবে সম্পন্ন হয়। আর এতে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে সংসদ সদস্যের সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানান প্রতিষ্ঠানটির গর্ভনিং বডির সংখ্যাগরিষ্ট সদসবৃন্দ। একাধিকবার সভায় বসেও কোন লাভ হয়নি।

তারই ধারাবাহিকতায় সৃষ্ট সমস্যার সমাধানের লক্ষে শনিবার (২১ জুলাই) বিকেল ৪ টায় কলেজ অধ্যক্ষের কক্ষে দীর্ঘ সময়ের আলোচনা কোন সমাধান ছাড়া বাকবিতন্ডা ও উত্তেজনাকর পরিবেশের মধ্যদিয়ে মূলতবি ঘোষণা করা হয়।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বাবুগঞ্জ বিশ^বিদ্যালয় কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি স্থানীয় সাংসদ অ্যাডভোকেট শেখ মো. টিপু সুলতান বলেন- জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাকে বিতর্কিত করতে বিরোধীরা ষড়যন্ত্র চলছে।’