১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

সংক্রামক রোগ গোপন রাখলে ৬ মাস কারাদণ্ড!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:০৮ অপরাহ্ণ, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সংক্রামক রোগের কথা গোপন রাখার পর আক্রান্ত কারো মাধ্যমে তার বিস্তার ঘটলে তাকে ৬ মাস কারাভোগের পাশাপাশি লাখ টাকা জরিমানা গুণতে হবে। এমন বিধান রেখে ‘সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) বিল-২০১৮’ সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে- যেখানে ২৩টি সংক্রামক রোগের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

রোগগুলো হলো- ম্যালেরিয়া, কালাজ্বর, ফাইলেরিয়াসিস, ডেঙ্গু, ইনফ্লুয়েঞ্জা, এভিয়ান ফ্লু, নিপাহ, অ্যানথ্রাক্স, মারস-কভ, জলাতংক, জাপানিস এনকেফালাইটিস, ডায়রিয়া, যক্ষা, শ্বাসনালির সংক্রমণ, এইচআইভি, ভাইরাল হেপাটাইটিস, টিকার মাধ্যমে প্রতিরোধযোগ্য রোগসমূহ, টাইফয়েড, খাদ্যে বিষক্রিয়া, মেনিনজাইটিস, ইবোলা, জিকা, চিকুনগুনিয়া।

তবে সরকার গেজেট প্রজ্ঞাপন দিয়ে আরও রোগের তালিকা প্রকাশ করতে পারবে বলে বিলে বলা হয়েছে। সোমবার বিলটি সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের পক্ষে উত্থাপন প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। পুরনো চারটি আইন পুনর্বিন্যাস করে নতুন আইন করার জন্য বিলটি আনা হয়েছে।

প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে- যদি কোনো ব্যক্তি সংক্রামক জীবানুর বিস্তার ঘটান বা ঘটাতে সহায়তা করেন বা স্থানের সংস্পর্শে আসার সময় সংক্রমণের ঝুঁকির বিষয়টি গোপন করেন তাহলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে। সুস্থ্য কেউ যাতে আক্রান্ত না হন সেজন্য কারো সংক্রামক রোগ হলে সেই তথ্য সরকারি কর্তৃপক্ষকে জানানোর বিষয়টি প্রস্তাবিত আইনে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

কোনো এলাকায় সংক্রমণ দেখা দিলে তাকে ‘সংক্রমিত এলাকা’ ঘোষণা করে সেখানে কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ করার বিধানও রাখা হয়েছে। রোগাক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত দ্রব্যাদি সরকার বিশুদ্ধ বা ধ্বংসের পাশাপাশি তাকে সরকার দূরে সরিয়ে রাখতে পারবে। সংক্রমিত স্থান বা স্থাপনা জীবাণুমক্ত বা বন্ধ করতেও ব্যবস্থা নিতে পারবে।

বিলে বলা হয়েছে- যদি কোনো স্থাপনা জীবাণুমুক্ত করা সম্ভব না হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জনকে জানাতে হবে। সিভিল সার্জন সেটি ধ্বংস করার জন্য মালিককে নির্দেশ দিতে পারবেন। জীবাণুযুক্ত যানবাহন প্রয়োজনে জব্দ করতে পারবে সরকার। কেউ সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে সন্দেহ হলে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশনা অনুযায়ী দাফন বা সৎকার করতে হবে।

সংক্রামক ব্যক্তি রোগ সম্পর্কে জানার পরও মিথ্য বা ভুল তথ্য দিলে সর্বোচ্চ দুই মাস কারাদন্ড বা সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড দেওয়া হবে।”

2 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন