২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

সাগর থেকে নিয়ে যাওয়া ২ জেলে ৩দিনেও উদ্ধার হয়নি

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:২৮ অপরাহ্ণ, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭

গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় জেলেদের নির্যাতন করে আহত করার পর দুই জেলেকে ট্রলিং জাহাজের ক্যাপ্টেনের বিরুদ্ধে আটকের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মাছ ধরা ট্রলার এফবি মানোয়ারার মালিক মো. নুর আলম ১৮ ডিসে¤¦র রাতে পাথরঘাটা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

ওই ডায়েরি বিবরণে জানা গেছে, ১৩ ডিসেম্বর নুরুল আলমের মালিকানা এফবি মনোয়ারা ট্রলারে ১৫জন জেলে সাগরে মাছ ধরতে যায়। মাছ ধরাকালীন ১৭ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে পাথরঘাটা থেকে ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে গভীর সমুদ্রে এফভি শাহ্ বদর ট্রলিং জাহাজ ট্রলারের পাশে গিয়ে এলোপাতারি ইটপাটকেল ও শিকলের অংশবিশেষ তাদের গায়ে নিক্ষেপ করে।

এতে ওই ট্রলারের ১৫ জনের মধ্যে অন্তত ১০জন জেলে আহত হয়।

তাদের মধ্যে মো. তৈয়ব আলী (৩৫) ও আব্দুস ছোবাহানকে (২০) আটক করে ট্রলিং জাহাজে উঠিয়ে নেয়। বাকিদের ট্রলারসহ ছেড়ে দেয়।

এ পর্যন্ত ওই দুই জেলে সাগরে ট্রলিং জাহাজের আটক রয়েছে।

এ বিষয় এফবি মনোয়ারা ট্রলারের মালিক নুরুল আলম বরিশালটাইমসকে বলেন, ট্রলিং জাহাজের কে বা কারা গ্লাস ভেঙেছে, তার অভিযোগে আমাদের মারধর করে এবং দুই জেলেকে এখনও আটকে রেখে নির্যাতন করছে। আমি পাথরঘাটা থানায় ৭০৯ন¤¦র সাধারণ ডায়েরি করেছি।

এ বিষয় অভিযুক্ত ট্রলিং জাহাজের ক্যাপ্টেন বা মালিকের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

তবে সামুদ্রিক মৎস্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের পরিদর্শক মো. জহিরুল ইসলাম বরিশালটাইমসকে জানান, ট্রলিং জাহাজের স্টাফদের সাথে কথা হয়েছে। ২১ ডিসেম্বর ওই ট্রলিং জাহাজ চট্টগ্রাম আসলে আটক জেলেদের ফিরিয়ে দেয়া হবে এবং বিষয়টি যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাথরঘাটা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা মো. খবীর আহমেদ বরিশালটাইমসকে বলেন, ট্রলার মালিক থানায় জিডি করেছে। আমি সামুদ্রিক মৎস্য অধিদপ্তরের পরিদর্শকের সাথে কথা বলেছি।”

2 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন