২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

সীমান্তও আটকাতে পারেনি তাদের প্রেম

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০২:৪৮ পূর্বাহ্ণ, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর এলাকার যুবক লাবু মিয়া আর ভারতের পশ্চিমবাংলার নদীয়া জেলার হোগলবাড়িয়া থানার সঞ্জনা বিশ্বাস। মোবাইলে দুই তরুণ-তরুণীর মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। যে সম্পর্ক ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তও আটকাতে পারেনি। প্রেমের টানে ভারত ছেড়ে বাংলাদেশ পাড়ি দিয়েছেন সঞ্জনা।

এ নিয়ে শনিবার বেলা ১১টায় দৌলতপুর উপজেলার জামালপুর সীমান্তে ১৫২/৬(এস) সীমান্ত পিলারসংলগ্ন নোম্যান্সল্যান্ডে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির মধ্যে পতাকা বৈঠকও হয়েছে।

৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধীনস্থ প্রাগপুর ক্যাম্পের অধিনায়ক নায়েক সুবেদার সুবোধ পাল জানান, গত বৃহস্পতিবার সীমান্তরক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে সঞ্জনা বিশ্বাস বাংলাদেশে চলে আসেন। তিনি সীমান্তবর্তী এলাকার লাবু মিয়া নামের এক যুবকের বাড়িতে ওঠেন। মেয়েটিকে ফেরত চেয়ে বিএসএফ আমাদের কাছে পত্র দেয়। পত্র পেয়ে বিজিবি সদস্যরা জামালপুর গ্রামের যুবক লাবুর মিয়ার বাড়ি গিয়ে ভারতীয় মেয়ের সন্ধান চাইলে পরিবারের লোকজন জানায় তারা বাড়ির কাউকে না জানিয়ে ঢাকায় চলে গেছেন এবং দুজন বিয়ে করেছেন।

বিজিবি কর্মকর্তা জানান, এ নিয়ে আজ শনিবার বিজিবি ও বিএসএফ পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠকে বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ভারতের চরমেঘনা ক্যাম্পের অধিনায়ক ইন্সপেক্টর বান কে সিং। আমরা ওই তরুণীর সন্ধান পেলে বিএসএফের কাছে ফেরত পাঠাবো।

পালিয়ে আসা সঞ্জনা বিশ্বাস ভারতের পশ্চিমবাংলার নদীয়া জেলার হোগলবাড়িয়া থানার চরমেঘনা গ্রামের বিশ্বজিত বিশ্বাসের মেয়ে। আর বাংলাদেশি যুবক লাবু মিয়া কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের সীমান্তসংলগ্ন জামালপুর গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে।

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন