২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

স্বপ্নের পদ্মা রেলসেতুর ভিত্তিপ্রস্তর রোববার স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:০৮ অপরাহ্ণ, ১২ অক্টোবর ২০১৮

১৪ অক্টোবর রোববার স্বপ্নের পদ্মা রেলসেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়াও বেশ কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধন করবেন তিনি। এ উপলক্ষে এখন ওই অঞ্চলে চলছে সাজ সাজ রব। স্থানীয়দের মাঝে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ।

ঢাকা-মাওয়া সড়কে চলছে তোরণ নির্মাণ, সড়কের দুপাশে লাগানো হচ্ছে বড় বড় ব্যান্যার, ফেস্টুন। প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান ও স্বাগত জানাতে অধীর আগ্রহে চলছে অপেক্ষা।

এদিকে পদ্মা রেলসেতু বরিশাল, কুয়াকাটা, মোংলা, পায়রা পর্যন্ত বিস্তৃত করা হোক, এমন দাবি করছেন দক্ষিণাঞ্চলের আপামর মানুষ। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে মুন্সীগঞ্জে গ্যাস সংযোগসহ পর্যটন জোন, মেডিক্যাল কলেজ ও মাওয়ার পার্শ্ববর্তী জাতীয় ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ।

জানা গেছে- শেখ হাসিনা বিকাল ৩টায় খানবাড়ি গোলচত্বরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখবেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মাটি ও মানুষের কথা চিন্তা করেন। তাই তিনি এ অঞ্চলের মানুষের সব যৌক্তিক দাবি পূরণ করবেন বলে আমরা আশাবাদী।

প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে গত মঙ্গলবার চূড়ান্ত নিরাপত্তা সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয় পদ্মাসেতু প্রকল্প সার্ভিস ওয়ান-এ। এতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হক নওফেল চৌধুরী, মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ মৃণাল কান্তি দাস, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিফ সিকিউরিটি অফিসার কর্নেল সাদী, পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ জায়েদুল আলমসহ সংশ্লি­ষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা।

জেলা প্রশাসক শায়লা ফারজানা এতে সভাপতিত্ব করেন। জানা গেছে- প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে চার স্তরের নিরাপত্তাবলয় গড়ে তুলেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। লৌহজং উপজেলার মেদেনীম-ল ইউনিয়নের খানবাড়ী এলাকায় ৭ একর জায়গায় জনসভাস্থল নির্ধারণ ও জনসভাস্থলের উত্তর প্রান্তে মঞ্চ নির্মাণের কাজ চলছে।

বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতুর সঙ্গে দেশের প্রথম ৬ লেন এক্সপ্রেস হাইওয়ে ছাড়াও পদ্মাপারে তাঁতপল্লী, আইসিটি ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাইটেক পার্কসহ মেগা সব প্রকল্পের অগ্রগতি থাকলেও সেতুতে রেল সংযোগের কাজ দৃশ্যমান না হওয়ায় এতদিন সংশয় বাড়ছিল; কিন্তু কয়েক সপ্তাহ ধরে মাঠ পর্যায়ে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দেশি-বিদেশি শ্রমিকদের কর্মতৎপরতা জনমনে স্বস্তির প্রলেপ বুলিয়ে দিয়েছে। রবিবার প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর রেল সংযোগের ভিত্তিপ্রস্তরসহ ৪টি প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। এ জন্য চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি।

সূত্রমতে- পদ্মা সেতুতে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হবে সিঙ্গেল রেললাইন। কেরানীগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর রেলস্টেশন, শিবচরের ২টি স্টেশন, যশোর ও ভাঙায় একটি করে জংশন নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া ৩৪টি সেতু, ৯৬টি বক্স কালভার্ট ও আন্ডারপাস থাকবে এ প্রকল্পে। বুড়িগঙ্গা ও ধলেশ^রী নদীতে নির্মাণ করা হবে ২১ দশমিক ৮৪ কিলোমিটার সংযোগ সেতু। প্রথম পর্যায়ে ভাঙা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার অধিগ্রহণ শেষে চলছে ক্ষতিপূরণ বিতরণ কার্যক্রম।

গত জুনে চীনের সঙ্গে রেললাইন নির্মাণের চুক্তি হওয়ার পর গতি বেড়েছে প্রকল্পের কার্যক্রমে। ইতোমধ্যে অধিগ্রহণকৃত এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সব স্থাপনা।’

3 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন