১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

ম্যাডাম না বলায় চটলেন ইউএনও

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:৩৪ অপরাহ্ণ, ১০ জানুয়ারি ২০১৮

ম্যাডাম না বলায় স্থানীয় এক সংবাদকর্মীর ওপর চটে গেলেন পাবনার বেড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা খানম। উত্তেজিত হয়ে এ সময় ইউএনও সাংবাদিককে বলেন, আপনি কতদিন ধরে সাংবাদিকতা করেন। আপনি জানেন না একজন ইউএনওকে স্যার বা ম্যাডাম বলতে হয়।

বুধবার বিকেলে পেশাগত কাজে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন ও সময় টিভি’র পাবনা প্রতিনিধি সৈকত আফরোজ আসাদ মুঠোফোনে তার বক্তব্য জানার জন্যে ফোন করে। মুঠোফোনে আলাপের মাঝে তাকে আপা বলে সম্মোধন করায় সে ক্ষিপ্ত হয়। এ সময় তার সঙ্গে বাক-বিতন্ডা হয়।

একপর্যায়ে ওই সংবাদকর্মী সদ্য বিদায়ী পাবনার জেলা প্রশাসক রেখা রানী বালোকে আপা বলে সম্বোধন করার বিষয়টি অবহিত করলে ইউএনও ফারজানা খানম বলেন, স্যারের বিষয়টি জানি না। আমাদের চাকরিতে নিয়ম-কানুন আছে। অবশ্যই আমাকে স্যার বা ম্যাডাম বলে সম্বোধন করতে হবে। অন্য কারোর সঙ্গে আমাকে বিবেচনা করা যাবে না।

এদিকে, বেড়ায় কর্মরত একাধিক সাংবাদিক জানান, সম্প্রতি জাতীয় দৈনিক বাংলা খবর প্রতিদিনের সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা খানমকে আপা বলায় চরম ক্ষিপ্ত হয়ে আশালীন আচরণ করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেড়ায় যোগদানের পর ইউএনও শুধু সাংবাদিক নয়, জনসাধারণের সঙ্গে খুবই খারাপ আচরণ করেন। উপজেলার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার এমন আচরণে সবাই অতিষ্ঠ হলেও কেউ মুখ খুলতে পারেন না।

এ বিষয়ে পাবনা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহবুব মোর্শেদ বাবলা বলেন, বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একজন পেশাদার সাংবাদিকের সঙ্গে যে আচরণ করেছেন, তা মোটেও উচিত হয়নি। এতেই প্রমাণিত হয়, তার আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে কেউ এ ধরনের পজিশনে নেই। তিনি এ পজিশনে থাকায় তার মধ্যে অহংকার কাজ করে বিধায় এমন আচরণ করেছেন। অবশ্যই তার ওই সাংবাদিকের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত বলেও জানান এই সাংবাদিক নেতা।

পাবনা টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ রিজভী জয় বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তা সাংবাদিকদের কাছ থেকে এ ধরনের সম্বোধন কামনা করতে পারেন না। কেননা আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রি শেষ করেই এ পেশায় কর্মরত। একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অধীনে আমরা কাজ করি না। কাজেই তাকে স্যার বা ম্যাডাম বলার প্রশ্নই ওঠে না।

এ বিষয়ে পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মাছরাঙা টেলিভিশনের উত্তরাঞ্চলীয় ব্যুরোপ্রধান উৎপল মির্জা বলেন, আমলাদের মধ্যে এই ধরণের আমলাতান্ত্রিক মনোভাব দুর হওয়া প্রয়োজন। কেননা আমলারা জনগণের বা রাষ্ট্রের একজন কর্মচারী মাত্র।  তারা কখনোই এই ধরণের প্রত্যাশা করতে পারে না। সম্মান জোর করে আদায় করা যায় না। তাদের মধ্যে এ ধরণের আচরণের কারণে সাধারণ লোকজন প্রত্যাশিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

 

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন