২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

নলছিটিতে মৎস্য বিভাগের দায়সারা অভিযান, বেপরোয়া জেলেরা

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:০৫ অপরাহ্ণ, ১২ অক্টোবর ২০১৮

নিষেধাজ্ঞা সত্বেও ঝালকাঠির নলছিটিতে চলছে মা ইলিশ নিধনের মহোৎসব। সুগন্ধা ও বিষখালী নদীতে দিনরাত চলছে মা ইলিশ শিকারের প্রতিযোগিতা। স্থানীয় প্রায় দুইশতাধিক জেলে প্রতিদিন নদীতে শিকার করছেন। আর ওইসব ইলিশ বিক্রিও হচ্ছে প্রকাশ্যেই। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকায়। স্থানীয় মৎস্য বিভাগের অদূরদর্শিতা ও দায়সারা অভিযানের কারণে অসাধু জেলেরা এ বছর অবাধে চালাচ্ছে মা ইলিশ নিধন।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, প্রকাশ্য দিবালোকে এবং রাতের অন্ধকারে জেলেরা অবাধে মা ইলিশ ধরছে। উপজেলার সুগন্ধা নদীর সরই, মাটিভাঙ্গা, ফেরিঘাট, নাইয়াপাড়া, খোঁজাখালী, অনুরাগ, দপদপিয়া পুরাতন ফেরিঘাট ও বিষখালী নদীর ভেরনবাড়িয়া, নলবুনিয়া এলাকায় শত শত জেলেকে উৎসবমুখর পরিবেশে মাছ ধরতে দেখা গেছে। তাদের নেই কোন আতঙ্ক। যদিও মাঝেমাঝে সরকারিভাবে একটি ট্রলার মহড়া দিলেও এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যেতে না যেতেই শত শত ইলিশ ধরা পড়ছে জেলেদের জালে। জেলেরা প্রতিদিন এসব এলকায় শত শত মণ ইলিশ শিকার করে নির্বিঘ্নে বিক্রি করছে। স্থানীয়রা জানান, সরকারিভাবে কড়াকড়ি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও এক শ্রেণীর লোভী জেলে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরছে। সকাল ১০টায়, দুপুর ৩টায়, রাত ১০টায় ও ভোর ৪টায় প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে অবাধে এ মা ইলিশ নিধন করছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিগত বছরগুলোতে যেভাবে অভিযান পরিচালিত হতো, এ বছর তেমনটা হচ্ছে না। উপজেলা মৎস্য অফিসের ফিল্ড এ্যাসিস্ট্যান্ট মো. শোয়েবের সঙ্গে স্থানীয় জেলেদের বেশ সখ্যতা থাকায় অভিযানের খবর আগেভাগেই পেয়ে যায় তারা। এ কারণে অভিযানে সফলতা আসছে না।

এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার ভৈরবপাশা এলাকায় সুগন্ধা নদী সংলগ্ন একটি খাল খেকে নৌকা ও জালসহ তিন জেলেকে আটক করে মৎস্য কর্মকর্তার হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা। পরে তাদেরকে রহস্যজনক কারণে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমাদের বরাদ্দ কম এবং একটি মাত্র ট্রলার ও জনবল কম, তা দিয়ে অভিযান চালানো কষ্টসাধ্য।

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন