বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১২:৩০ অপরাহ্ণ, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ অব্যাহত থাকায় অর্ধেক গাজাবাসী অনাহারে দিনযাপন করছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের খাদ্য কর্মসূচির উপপরিচালক কার্ল স্কাউ বলেছেন, গাজায় যে পরিমাণ খাবার প্রয়োজন তার মাত্র কিয়দাংশ সরবরাহ করা হয়েছে। এ কারণে মোট জনসংখ্যার অর্ধেক না খেয়ে দিন পার করছেন। প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন ফিলিস্তিনি প্রতিদিন খেতে পারছেন না। গাজার যে পরিস্থিতি তা খাবার সরবরাহ প্রায় অসম্ভব করে তুলেছে।
গত অক্টোবরে গাজায় হামলা শুরু করার পরপরই গাজার সব সীমান্তপথ বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। এ কারণে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে মিসর রাফাহ সীমান্তপথ খুললেও সেখান দিয়ে প্রয়োজনের তুলনায় খুব কম ত্রাণ সহায়তা প্রবেশ করছে।
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরের একমাত্র সচল হাসপাতাল নাসেরের প্লাস্টিক সার্জারি ও বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. আহমেদ মোগরাবি বিবিসিকে বলেছেন, এখানে পর্যাপ্ত খাবার নেই। শুধু ভাত আছে। আমরা দিনে মাত্র একবার খাই। তা-ও শুধু ভাত।
তিনি বলেন, আমার তিন বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। সে সবসময় আমার কাছে কিছু মিষ্টি, আপেল, ফল চায়। আমি দিতে পারি না। আমি অসহায় বোধ করি।
সম্প্রতি গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনারা। বিশেষ করে দক্ষিণের খান ইউনিস শহরে হামাস নেতারা অবস্থান করছে দাবি করে সেখানে হামলা জোরদার করেছে নেতানিয়াহু বাহিনী। দক্ষিণ গাজায় হামলা শুরুর পর থেকেই বাস্তুচ্যুত প্রায় ২০ লাখ ফিলিস্তিনিকে স্বঘোষিত ‘মানবিক অঞ্চল বা নিরাপদ অঞ্চলে’ আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে আসছে তারা। ইসরায়েলি সেনারা যে এলাকাটি ‘মানবিক অঞ্চল’ বলে ঘোষণা করেছে সেটির আয়তন লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরের চেয়ে ছোট।