হাথুরুসিংহের গোমর ফাঁস করার বিষয়টি শুরুতে অনুমান করেছিলেন ক্রীড়া সাংবাদিকরা। তারাই বাংলাদেশের জাতীয় দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর এবং ক্রিকেটারদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, সবার হাঁড়ির খবর যদি নতুন শিষ্যদের কাছে ফাঁস করে দেন হাথুরু? এই আশঙ্কা বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা হেসে উড়িয়ে দিলেও খোদ হাথুরুসিংহে স্বীকার করলেন, পার্থক্য গড়ে দিয়েছে এই বিষয়টাই!
বাংলাদেশের সদ্য সাবেক কোচ আজ শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুশীলনের ফাঁকে সাংবাদিকদের বললেন, ‘আমার মনে হয়…সত্যি বলতে, বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। ওদের ক্রিকেটারদের বেশ কজনকে নিয়ে আমাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছিল। জানতাম চাপের মধ্যে ওরা কেমন করে, কীভাবে খেলে।’
এমনটা যে হতে পারে তা খুবই পরিস্কার ছিল। কিন্তু বিষয়টাকে পাত্তাই দিতে চায়নি বাংলাদেশ। তারা একের পর এক সিরিজ হেরে আসা শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের নিয়ে ভাবছিল। কিন্তু ওই বিধ্বস্ত ক্রিকেটারদের গুরু হিসেবে যে একজন তুখোর কোচ আছেন, সেটা নিয়ে মাথাই ঘামায়নি কেউ। টেকনিক্যাল ডিরেক্টর থেকে শুরু করে ক্রিকেটারদের সবার ধারণা ছিল, মাঠে তো আর কোচ খেলবেন না; খেলবে ক্রিকটাররা। তাই কোচও যে একটা দলে পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন, এই সাধারণ সত্যটা বুঝতে চায়নি কেউ।
অন্যদিকে হাথুরুসিংহে তার শিষ্যদের পারফর্মেন্সে দারুণ খুশি। তার দাবি, এমনটা প্রত্যাশিতই ছিল। হাথুরুর ভাষায়, ‘প্রথম দুই ম্যাচে ওরা দারুণ দাপট দেখিয়েছে। সেটা আমার কাছে প্রত্যাশিতই ছিল, ওরকম না হলেই আমি খুব হতাশ হতাম। আমি খুশিই ছিলাম সেটি নিয়ে। তবে তার পর আমরা যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি, সেটি নিয়েও আমি খুশি। ব্যক্তিগতভাবে আমার জন্য এটি খুবই তৃপ্তিদায়ক সফর।’
খেলাধুলার খবর