বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার চাখার এলাকায় শেরেবাংলার নিজ জমিতে নির্মাণ করা হয় এই জাদুঘর। সেখানে রাখা হয়েছে তার শৈশবের ব্যবহৃত জিনিসপত্র। প্রতিদিন এগুলো দেখতেই দূর দূরান্ত থেকে হাজারও দর্শনার্থী ভিড় করছে সেখানে। অথচ এই জাদুঘরটি এখনো জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি কিংবা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়নি। তবে জাদুঘরটি খুলনা প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
১৯২১ সালে শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক এখানে বিশ্রামের জন্য একটি বাংলো তৈরি করেন। বর্তমানে বাংলোটিতে থাকেন তার একমাত্র সন্তান ফাইজুল হকের ছেলে ফাইজুল হক রাজু।
কিন্তু বর্তমানে জাদুঘরটি অযত্ন অবহেলায় রয়েছে বলে অভিযোগ এখানে আসা দর্শনার্থীদের। সরকার জাদুঘর আর বাংলোটির সংস্কারের তেমন কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।
খোঁজখর নিয়ে জানা গেছে- ১৯৭৮ সালের ৩০ জানুয়ারি চাখারে শেরেবাংলার বাড়ি পরিদর্শনে যান সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। সেখানে সরকারি ফজলুল হক কলেজের এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি শেরেবাংলার নামে জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করার ঘোষণা। এরপর চাখারে প্রায় এক একর জমি নিয়ে জাদুঘর নির্মাণ করা হয়।
স্থানীয়দের জানা কাছ থেকে গেছে- ১৯৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর মামার বাড়ি ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক।
শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের বাবা কাজী ওয়াজেদ আলীর জন্মস্থান পটুয়াখালীর বাউফলের বিল বিলাশ গ্রামে। তৎকালীন সময় কাজী ওয়াজেদ আলীর ছেলে (শেরেবাংলার দাদা) বিচার বিভাগের কর্মকর্তা থাকায় দেশের বিভিন্ন স্থানে চাকরি করেন।
ওই সুবাদে বরিশালের বানারীপাড়ার চাখারে এক একর জমি ক্রয় সূত্রে মালিক হন। পর্যায়ক্রমে সেখানে বসবাস করতেন শেরেবাংলার এক ফুফু ও তার পরিবার। এরই সূত্র ধরে বানারীপাড়ার চাখারে শেরেবাংলার অবস্থান হয়। প্রায় সময় তিনি সেখানেই থাকতেন।
সব মিলিয়ে জীবনের অর্ধেক সময়ই বরিশাল বিভাগে সময় কাটান দেশের খ্যাতিমান এই নেতা।’
চাখার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান খিজির সরদার বরিশালটাইমসকে জানিয়েছেন- সাম্প্রতিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শেরেবাংলার নামে চাখারে ব্যয়বহুল আইটি ভিলেজ স্থাপন করতে যাচ্ছেন। এই আইটি ভিলেজের সব দাফতরিক কাজ শেষ হয়েছে।
এখন শুধু ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অপেক্ষা।’
জাহিদ হাসান, অতিথি প্রতিবেদক
শিরোনামবিশেষ খবর