বরগুনার আমতলী উপজেলায় পাঁচটি অবৈধ ইটভাটা ভেঙে ফেলেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। সেই সাথে অবৈধ ইটভাটাগুলোর ধ্বংসাবশেষ অপসারণে ভাটাগুলোর মালিকদের নোটিশও দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে অভিযান চালিয়ে বরিশাল অঞ্চলের সহকারী পরিচালক এএইচএম রাশেদের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে- আমতলী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তর, কৃষি বিভাগের ছাড়পত্র ছাড়া ত্রি-ফসলি কৃষি জমিতে অবৈধ ইটভাটি গড়ে তুলে। এ নিয়ে সোমবার একটি স্বচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায়। ওই প্রতিবেদন নজরে পরে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের।
যে কারণে সোমবার উপজেলার মহিষডাঙ্গা এলাকায় এমসিকে ও এমএমসি ব্রিকস, চালিতাবুনিয়ার এইচএসবি, মধ্য চন্দ্রার এইচবিএস ও পাতাকাটার এইচআরডি ব্রিকস’এ বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি টিম অভিযান চালায়।
ওই সময় পরিবেশ অধিদপ্তর, কৃষি বিভাগের ছাড়পত্র ছাড়া কৃষি জমিতে ইটভাটি গড়ার অপরাধে ড্রামচিমনি এ পাঁচটি ইটভাটা ভেঙে ফেলে। এবং অবৈধ ইটভাগুলো মালিকদের আগামী ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ভাটির ধ্বংসাবশেষ অপসারণ করার নির্দেশ দেয় পরিবেশ অধিদপ্তর। অবশ্য ভাটাগুলোর মালিকরা যথাসময়ে ধ্বংসাবশেষ অপসারণের লিখিত অঙ্গীকার করেছেন।
এদিকে স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেছেন- জিকজ্যাক ইটভাটাগুলো কৃষি বিভাগের ছাড়পত্র ছাড়াই গড়ে তুলেছে। এতে কৃষি জমির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজন ওই সকল ইটভাটিগুলোকে অজ্ঞাত কারণে অভিযান পরিচালনা করেনি। তারা ওই ভাটাগুলোতে অভিযান পরিচালনা করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানিয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর বরিশাল অঞ্চলের সহকারী পরিচালক এএইচএম রাশেদ বরিশালটাইমসকে বলেন- পাঁচটি অবৈধ ইটভাটিতে অভিযান চালানো হয়েছে। ইটভাটাগুলোর বৈধতা না থাকায় সেগুলোর ড্রামচিমনি ভেঙে ফেলা হয়।’
শিরোনামবরগুনা