পিরোজুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গুরুতর আহত শিশু সাদিকুর (৮) গত ১৯দিন ধরে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান সাদিকুর চিকিৎসাহীন অবস্থায় ঘরের মেঝেতে কাতরাচ্ছে।
সাদিকুর উপজেলার সাপলেজার ৯১ নম্বর কচুবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণির ছাত্র। সে কচুবাড়িয়া গ্রামের মোটরসাইকেল চালক মিলন মিয়া ও গৃহিনী পারুল বেগমের ছেলে।
আহত শিশুটির পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- গত ২৪ নভেম্বর সুপারি পাড়তে গাছে ওঠার সময় গাছ সংলগ্ন বিদ্যুতের তারে স্পর্শ লাগে। পরিবারের সদস্যরা গুরুতর আহত শিশু সাদিকুরকে মঠবাড়িয়া উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে।
কিন্তু অতিদরিদ্র পরিবারের পক্ষে চিকিৎসা ব্যায় মেটানো সম্ভব না হওয়ায় বাড়িতে নিয়ে যায়। বাড়িতে সুচিকিৎসার অভাবে শিশুটির শরীরের পোঁড়া অংশে পচন ধরে গর্তের সৃষ্টি হয়। পরিবারের অর্থকষ্টের কারণে গত ১৯ দিন ধরে বাড়িতে কাতরাচ্ছে আহত শিশু সাদিকুর।
আহত সাদিকুরের মা পারুল বেগম সাংবাদিকদের বলেন, সুদে কিছু টাহা কর্জ করছি। ওই টাহা লইয়া আইজ (মঙ্গলবার) বরিশাল যামু। আমনেরা মোর বাজানরে বাঁচান।
শিশুটির পরিবারের পক্ষ হতে শিশু সাদিকুরের চিকিৎসা সহায়তার জন্য তার স্কুল শিক্ষক রিপন সিকদারের সাথে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
শিরোনামপিরোজপুর