নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: রাজধানী ঢাকার দক্ষিণ সিটির ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ মান্নানকে অস্ত্র ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের যাত্রাবাড়ী থানার সাধারণ সম্পাদক রিপন হোসেন ফাহিম। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী আওয়ামী লীগ নেতা যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেছেন। মামলা নম্বর ১০১। ঘটনাটি ঘটে গত ১৫ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টার দিকে। মামলা হয়েছে গত ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে। ওই ঘটনার দুটি ভিডিও ফুটেজ এসেছে সাংবাদিকদের হাতে। ভিডিওতে দেখা যায় প্রবীণ রাজনীতিক এমএ মান্নানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঢুকে অস্ত্র বের করে হত্যার হুমকি দেন ফাহিম। এ সময় তাঁর সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিলেন। তবে তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তথ্যসূত্র: আজকের পত্রিকা।
ভিডিওতে দেখা যায়, একটি কক্ষের সামনে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতা ফাহিম উত্তেজিত হয়ে কথা বলছেন। এ সময় আশপাশে কয়েকজনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। কথা বলার একপর্যায়ে এই ছাত্রলীগ নেতা আগ্নেয়াস্ত্র বের করে কক্ষের ভেতরে থাকা ব্যক্তির দিকে তাক করেন। ঘটনায় হতভম্ব হয়ে যান ওই ব্যক্তি। তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ মান্নান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এমএ মান্নান বলেন, ‘ফাহিমের বাবা মো. ফারুক ডেকরেশন ব্যবসা করে। গত শনিবার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নুর তাপসের একটা অনুষ্ঠান ছিল। সে জন্য ফাহিমের বাবাকে একটি স্টেজ তৈরি করতে বলি। কিন্তু সে করেনি। যদিও তার বাবা বড় বড় রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে স্টেজ ও চেয়ার সরবরাহ করে। কিন্তু ওই দিন সে করেনি। এটা নিয়ে তার সঙ্গে আমার উচ্চবাচ্য হয়। এই কথা ফাহিম জেনে আমার অফিসে এসে অস্ত্র ঠেকিয়ে হুমকি দিয়ে যায়।’
মামলা করলেও অভিযুক্ত গ্রেপ্তার না হওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন জানিয়ে এ আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘২২ বছর ধরে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। ফাহিম এর আগে আমার ম্যানেজারকে পিস্তল দেখিয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছে। পরে আবার আমার অফিসে এসে পিস্তল দেখিয়ে আমাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। আমার টেবিলের ড্রয়ার থেকে টাকা নিয়ে গেছে। অফিসে তখন আমি একা ছিলাম। ফাহিম আমাকে বলে, “তোর মতো সভাপতি আমি গুনি না। গুলি কইরা মাইরা ফেলমু”।’
ফাহিমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
অস্ত্র ঠেকিয়ে হুমকি দেওয়া নেতা বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনাটি আমার জানা নেই। মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা করা হবে। এরপর অভিযুক্তের বিরুদ্ধ যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মামলার অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির ডেমরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মধুসূদন দাস বলেন, ‘মামলার বিষয়টি আমি জেনেছি। ঘটনার বিস্তারিত জানতে তদন্ত চলছে। তথ্য প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জাতীয় খবর