বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৯:৪৩ অপরাহ্ণ, ০৪ মে ২০১৬
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের তালিকাভুক্ত সদস্য ও বরগুনা জেলা বারের সদস্য বিপ্লব তালুকদারকে নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে ন্যাশনাল ল’ইয়ার্স কাউন্সিল।
বুধবার (০৪ মে) সন্ধ্যায় আইনজীবী বিপ্লব তালুকদারকে নির্যানতনকারী পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে গনমাধ্যমে বিবৃতি দেয় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের এ সংগঠনটি।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ও বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য বিপ্লব তালুকদারকে তুচ্ছ ঘটনায় পুলিশ যেভাবে নির্মমভাবে নির্যাতন করেছে তা ইতিহাসের পাতায় কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে।
অনতিবিলম্বে আইনজীবীকে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত সকল সদস্যদেরকে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানায় সংগঠনটি। একইসঙ্গে এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের মহাপরিদর্শকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সংগঠনটির নেতারা।
সংগঠনের পক্ষে বিবৃতিদাতারা হলেন- ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান, অ্যাড. এসএম জুলফিকার আলী জুনু, শফিউল্লাহ, হাদিউল ইসলাম মল্লিক, আব্দুস সামাদ আযাদ, আকবর হোসেন, এমদাদুল হক, আরিফুল ইসলাম, নাসিমুল হাসান, সামসুল ইসলাম মুকুল, আব্দুল হান্নান খন্দকার, শিকদার জাহিদ, মোতাহার হোসেন, অ্যাডভোকেট ওয়ালিউল ইসলাম, নিজাম উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান, হেমায়েত বাদশা, ইকবাল হোসাঈন সেখ, ফারজানা সুলতানা সাথী, শান্তা খন্দকার, মোজাম্মেল হক হিমু, সাইফুজ্জামান তুহিন, জাকারিয়া স্বপন, কবির হোসাইন, ফেরদৌস মোল্লা, মাহবুবুর রহমান রুপম ও রাশেদুল হাসান সুমনসহ ১০১ জন আইনজীবী।
উল্লেখ্য, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য বিপ্লব তালুকদারকে গত ০৩ মে আমতলী থানায় আটক করে রাতভর নির্যাতনের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় দৈনিক যুগান্তরসহ জাতীয় একাধিক দৈনিকে।
পুলিশি নির্যাতনের ঘটনায় মঙ্গলবার (০৩ মে) সকালে বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির এক সভায় বরগুনার পুলিশ সুপার বিজয় বসাক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম, আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ পুলকচন্দ্র রায় ও আমতলী থানার উপপরিদর্শক আরিফের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একইসঙ্গে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ওই অভিযুক্ত ৪ পুলিশ অফিসারকে বরগুনা থেকে প্রত্যাহার না করলে লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দেয় আইনজীবী সমিতি। একইসঙ্গে পুলিশি নির্যাতনের বিষয়ে বারের রেজ্যুলেশন কপি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও আইজিপিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পৌঁছে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।