বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৮:৩২ অপরাহ্ণ, ০৫ মে ২০১৬
মৌলিক পদার্থবিজ্ঞানে বিশেষ কৃতিত্বের জন্য পুরস্কার ‘স্পেশাল ব্রেকথ্রু প্রাইজ ইন ফান্ডামেন্টাল ফিজিকস’ পাচ্ছেন বরগুনা জেলার দীপঙ্কর তালুকদারসহ বাংলাদের দুই বিজ্ঞানী। দীপঙ্কর তালুকদার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র। বরগুনা পৌরসভার একসময়কার ভাইস চেয়ারম্যান পরেশ তালুকদারের টানাপোড়েনের সংসারে বেড়ে উঠেছেন দীপঙ্কর।
আর বাংলাদেশের বিজ্ঞানী অধ্যাপক সেলিম শাহরিয়ার নেতৃত্ব দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের একটি দলকে। বাংলাদেশের পাবনা জেলার বেড়ার সন্তান অধ্যাপক সেলিম শাহরিয়ার। বিপিন বিহারি স্কুল থেকে মাধ্যমিক আর ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় তিনি মেধাতালিকায় ছিলেন দশের মধ্যে।
আনন্দবাজার অনলাইনের তথ্য অনুযায়ী, ব্রেকথ্রু পুরস্কার বিজয়ীর তালিকায় থাকা অন্য পাঁচ বাঙালি বিজ্ঞানী হচ্ছেন সোমক রায়চৌধুরী, তরুণ সৌরদীপ, সুকান্ত বসু, আনন্দ সেনগুপ্ত ও সঞ্জিত মিত্র।
ব্রেকথ্রু প্রাইজের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, নন্দিত পদার্থবিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন ১০০ বছর আগে যে মহাকর্ষীয় তরঙ্গের কথা বলেছিলেন, তা শনাক্ত করার জন্য বিশেষ এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।
পুরস্কারের মোট অর্থমূল্য ৩০ লাখ মার্কিন ডলার। এই অর্থ দুই ভাগ হবে। লাইগোর প্রতিষ্ঠাতা তিনজন মিলে পাবেন ১০ লাখ ডলার, আর বাকিটা পাবেন ১ হাজার ১২ জন গবেষক মিলে। চলতি বছরের শেষে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
দুই কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাকহোলের মিলনে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ সৃষ্টি হয় বলে গবেষণায় সাফল্যের বিষয়টি গত ১১ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা করে লাইগো। সেলিম শাহরিয়ার ও দীপঙ্কর তালুকদার লাইগোর ওই গবেষণাকাজে যুক্ত ছিলেন।
এছাড়া বিজয়ীর তালিকায় আছেন লেজার ইন্টারফেরোমিটার গ্র্যাভিটেশনাল-ওয়েভ অবজারভেটরির (লাইগো) প্রতিষ্ঠাতা রোনাল্ড ডব্লিউ পি ড্রিভার, কিপ এস থ্রোন, রেইনার ওয়েসিস এবং ওই গবেষণায় যুক্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১ হাজার ১২ জন বিজ্ঞানী।
নির্বাচক কমিটির প্রধান এডওয়ার্ড ভিটেন। কমিটিতে আরও ছিলেন স্টিফেন হকিংয়ের মতো বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানীরা।
এডওয়ার্ড ভিটেন বলেন, ‘এই আবিষ্কারের মাধ্যমে আমরা প্রথমবারের মতো আইনস্টাইনের তত্ত্বের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হয়েছি।’ তিনি বলেন, তাঁদের ছাত্রাবস্থায়ও যে কৃষ্ণগহ্বর কল্পবিজ্ঞানের অংশ ছিল, সেটি এখন বাস্তবে এসে পড়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে মাস্টার্স শেষে কমনওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে কেমব্রিজে পড়েন। পরে ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন থেকে পিএইচডি করার পর লাইগো প্রজেক্টে কাজ শুরু করেন।
এরপর তিনি চলে যান এমআইটি বা ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে, ১৯৮২ সালে। সেলিম শাহরিয়ার নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎকৌশল ও কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক। পদার্থবিজ্ঞান ও জ্যোতির্বিজ্ঞানেরও অধ্যাপক এবং অ্যাটমিক অ্যান্ড ফোটোনিক টেকনোলজি ল্যাবরেটরির (এপিটিএল) পরিচালক।